• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১২, ২০১৯, ০২:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১২, ২০১৯, ০৫:২৮ পিএম

ঈদযাত্রায় ১২ দিনে ২৪৭ জনের প্রাণহানি

ঈদযাত্রায় ১২ দিনে ২৪৭ জনের প্রাণহানি
প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ -ছবি : জাগরণ

এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ১২ দিনে সারা দেশে ১৮৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২২১ জন নিহত ও ৬৫২ জন আহত হয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এ ছাড়া নৌ দুর্ঘটনায় ৪ ও রেলে কাটা পড়ে ২২ জন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১২ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংগঠনটি বলছে, অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার সড়ক দুর্ঘটনা, প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কমেছে।

তারা বলছে, এবার ঈদ যাত্রা নিয়ে ১৮টি জাতীয় দৈনিক, ৬টি আঞ্চলিক দৈনিক ও ১০টি আনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ও পঙ্গু হাসপাতালের তথ্য মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরী করা হয়েছে।

যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে তথ্যগুলো তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম। তিনি জানান, ৩০ মে বৃহস্পতিবার থেকে ১০ জুন (রোববার) পর্যন্ত ১২ দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে সংঘটিত ১৮৫টি দুর্ঘটনায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে ২২১ জন নিহত, ৬৫২ জন আহত ও ৩৭৫ জন পঙ্গু হয়েছে। একই সঙ্গে নৌপথে ৫টি দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত ও ১২জন আহত হয়েছে। ট্রেনে কাটা পরে রেলের পূর্বাঞ্চলে ১৩ জন ও পশ্চিমাঞ্চলে ৯জন সহ মোটি ২২জন নিহত হয়েছে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবারের ঈদে সরকারের সদিচ্ছা ও রেশনিং পদ্ধতিতে ছুটি থাকায় যাত্রা খানিকটা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। একই সঙ্গে অন্য বছরগুলোর তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা, প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা করেছে।

প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশও রেখেছে সংগঠনটি। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম- ১. যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন,২. সড়ক বাঁকগুলো সোজা করা, ৩.যানবাহনের ফিটনেস প্রদ্ধতি ডিজিটাল করণ। ৪. সহাসড়কে নছিমন-করিমন, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইঞ্জিন চালিত অটোরিকশা বন্ধে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত শতভাগ বাস্তবায়ন করা।


এএইচএস/ একেএস