• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০১৯, ০৫:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৯, ২০১৯, ০৫:১৩ পিএম

‘৩০ লাখ গণশহীদকে চিহ্নিত করার পরিকল্পনা রয়েছে’

‘৩০ লাখ গণশহীদকে চিহ্নিত করার পরিকল্পনা রয়েছে’

শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিবিজড়িত গণকবর সংরক্ষণ করার বিষয়ে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন বধ্যভূমি ও গণকবর চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

বুধবার (১৯ জুন) বিকালে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রকল্পের আওতায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও পরবর্তী সময়ে পরলোকগত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ২০ হাজার সমাধিস্থল সংরক্ষণ করা হবে। তবে ৯ মাসব্যাপী স্বাধীনতা যুদ্ধে সারাদেশে ৩০ লাখ গণশহীদদের চিহ্নিত করা এখনও সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে এ লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

এর আগে বিকাল ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়। এদিন প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত বলে জানান স্পিকার।

টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে সংসদ নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেইজ প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশিত তালিকার বাইরে যদি কোন মুক্তিযোদ্ধা থেকে থাকেন তা চিহ্নিত করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। এই কার্যক্রম সম্পন্ন হলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হবে। ওই তালিকার অংশ হিসেবে- বর্তমানে ৫ হাজার ৭৯৫ জন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, ঠিকানা সম্বলিত পূর্ণাঙ্গ তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেসামরিক শহীদ ২ হাজার ৯২২ জন, গেজেটভুক্ত সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ ১ হাজার ৬২৮ জন, গেজেটভুক্ত বিজিবি’র শহীদ ৮৩২ জন এবং গেজেটভুক্ত শহীদ পুলিশ ৪১৩ জন।

সংসদ নেতা বলেন, ১৯৭১ সালের ৯ মাসব্যাপী স্বাধীনতা যুদ্ধে সারাদেশে ৩০ লাখ গণশহীদদের চিহ্নিত করা এখনও সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে এ লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

এইচএস/টিএফ