• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০১৯, ০৭:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৩, ২০১৯, ০৭:৫৪ পিএম

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অভিযোগ

ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতি রাষ্ট্রীয় অবজ্ঞা সুস্পষ্ট

ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতি রাষ্ট্রীয় অবজ্ঞা সুস্পষ্ট

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতারা অভিযোগ করে বলেছেন, দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতি রাষ্ট্রীয় অবজ্ঞা, অবহেলা আজও সুস্পষ্ট। ২০১৯-২০ অর্থবছরের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বাজেটে পূর্বেকার মতো ধর্মীয় বৈষম্য অব্যাহত থাকায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, লোকগণনার পরিসংখ্যান বিবেচনায় নিলে প্রকল্পভেদে ধর্মীয় সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠীর জন্যে মাথাপিছু বরাদ্দ ১১ থেকে ১২ টাকা আর সংখ্যালঘুর মাথাপিছু বরাদ্দ মাত্র ৩ (তিন) টাকা।

রোববার (২৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রাণা দাশগুপ্ত। সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ বৈষম্যের পাওয়ার প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, নির্মল রোজারিও, ভদন্ত সুনন্দপ্রিয় মহাথেরো, দীপেন চ্যাটার্জী, মিলন দত্ত, বাসুদেব ধর, মঞ্জু ধর প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তীর্থ ভ্রমণ, তাদের কেন্দ্রীয় উপাসনালয় পরিচালনা, পুরোহিত, সেবায়েত, যাজকদের কল্যাণে, দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে, মডেল মন্দির/প্যাগোডা/গীর্জা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সামাজিক উন্নয়ন ও গবেষণার জন্যে চলতি অর্থবছরেও বাজেটে কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। হিন্দু ধর্মাবলম্বী পুরোহিত ও সেবায়েতদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে বিগত অর্থবছর পর্যন্ত বরাদ্দ থাকলেও এবারের অর্থবছরে অনুরূপ কোনো বরাদ্দ নেই। মন্দিরভিক্তিক শিশু ও গণশিক্ষা এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্যে প্যাগোডাভিক্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার বিশেষ কর্মসূচি হিসেবে গৃহীত প্রকল্পের জন্যে বাজেট বরাদ্দ অব্যাহত থাকলেও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্যে বাজেটে কোনো বরাদ্দ এখনও নেই।  হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্যে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা নামে বিদ্যমান প্রকল্পের ৪০ শতাংশ মুসলিম কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদেরই কল্যাণে তা ব্যয় হয়। এর মধ্যে শুভংকরের ফাঁকি রয়েছে বলেও অভিযোগ এ সংগঠনটির।

সংবাদ সম্মেলন থেকে গত চার দশকের অব্যাহত ধর্মীয় বৈষম্য নিরসনকল্পে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে অন্যূন ২ হাজার কোটি টাকা, তীর্থ ভ্রমণের জন্যে অন্যূন ১০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দের দাবি জানানো হয়। এর পাশাপাশি বিদ্যমান কল্যাণ ট্রাস্টসমূহকে বাতিল করে ফাউন্ডেশনে রূপান্তর, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ঘোষিত ২০০ কোটি টাকার অনতিবিলম্বে ছাড়, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সঠিক রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ নিরূপণকল্পে এ জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থান নিরূপনের জন্য সর্বাঙ্গীন শুমারীর রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ গ্রহণেরও দাবি জানান তারা। প্রতিটি জেলায় ও উপজেলা পর্যায়ে মডেল মন্দির, প্যাগোডা, গীর্জা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের দাবি করেন তারা। 

টিএস/এফসি