• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০১৯, ০৫:২৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৬, ২০১৯, ০৫:২৯ পিএম

হাওয়া ভবনের লুটপাটে অগ্রযাত্রা থমকে যায় : প্রধানমন্ত্রী

হাওয়া ভবনের লুটপাটে অগ্রযাত্রা থমকে যায় : প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা - ফাইল ছবি

সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে দেশের অগ্রগতিকে রুদ্ধ করে দেয়া হয়। এরপর ২১ বছর চলে সামরিক ও স্বৈরাশাসকের লুটপাট। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে সেই অগ্রযাত্রা থমকে দাঁড়ায়। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে। আবার দুর্নীতির চক্রে নিপতিত হয় দেশ। হাওয়া ভবনের নামে তারেক জিয়া চালাতে থাকে লুটপাট।

বুধবার (২৬ জুন) বিকালে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদে দুই-তৃতীয়াংশের অধিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে। আবার দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য মনোনিবেশ করি। ২০০৯ সাল থেকে আমাদের অগ্রযাত্রা শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনি ইশতেহার দিন বদলের সনদের অঙ্গীকার অনুযায়ী অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এ পরিকল্পনার আওতায় দেশের জনগণের অর্থনৈতিক উন্নতি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছি।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বর্তমানে ১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা গত বছর ছিল ১ হাজার ৭৫১ ডলার। ২০০৬ সালে মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৫৪৩ ডলার অর্থাৎ এ সময়ে মাথাপিছু আয় বেড়েছে সাড়ে তিন গুণ।

গণফোরামের দলীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বেশকিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী কওমি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করছে। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় রেখেই পর্যায়ক্রমে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূল স্রোতধারায় আনার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দাওরায়ে হাদিসের (তকমীল) সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান করে আইন করা হয়েছে। আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন ও বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের ফলে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা মূল ধারার শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে পারবে।

এইচএস/ এফসি