• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০১৯, ০৪:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৯, ২০১৯, ০৫:০০ পিএম

‘সেপ্টেম্বর থেকে সোস্যাল মিডিয়ায় যা খুশি তাই করা যাবে না’

‘সেপ্টেম্বর থেকে সোস্যাল মিডিয়ায় যা খুশি তাই করা যাবে না’

আগামী সেপ্টেম্বরেই সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় গুজবসহ যেকোনো তথ্য নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা অর্জন করতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তবে তিনি বলেছেন, ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব করার ইচ্ছা সরকারের নেই, তবে তা যেন অন্যের ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব না করে, সেটাই নিশ্চিত করবে সরকার। 

শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আওয়ামী লীগের প্রচার সেল আয়োজিত ‘গৌরবের অভিযাত্রায় ৭০ বছর, তারুণ্যের ভাবনায় আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ প্রসঙ্গ তোলেন মোস্তাফা জব্বার।

মন্ত্রী বলেন, সমস্যা হচ্ছে যখন ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া হয়, অথবা ভিডিও প্রচার করা হয়, সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। এর কারণ হচ্ছে, বিশেষ করে ফেইসবুক বা ইউটিউব, এই দুটি প্রতিষ্ঠানই মার্কিন প্রতিষ্ঠান। এটা তাদের আমেরিকান কমিউনিটির স্ট্যান্ডার্ড মেনে কাজ করে থাকে। আমরা সরাসরি তাদের হস্তক্ষেপ করতে পারি না। তিনি বলেন, আপনাদের জন্য সুখবর হচ্ছে, সেপ্টেম্বর মাস অতিক্রম করার পরে আমরা এই ক্ষেত্রে সরাসরি হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা অর্জন করব। অর্থাৎ কেউ ইচ্ছা করলেই যা খুশি তাই সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার করতে পারবে না, প্রচার করতে পারবে না।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুজব ছড়ানো নিয়ে মন্ত্রী বলেন, এবারের নির্বাচনে কেউ গুজব ছড়াতে সক্ষম হয়নি। এরইমধ্যে ২২ হাজার পর্ন সাইট বন্ধ করা হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই গুজব বা মিথ্যা তথ্য প্রচার করতে কিছু কিছু অনলাইন পোর্টাল আছে, যেগুলো বন্ধ করা একটু দুরূহ হয়ে যায়। অনলাইনের নিবন্ধনটা শেষ হলে, বৈধ তালিকা পেলে, বাকিগুলো আমরা বন্ধ করে দিতে পারব।

ইন্টারনেট ব্যবহারে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বোকার ফসল পোকায় খায়। অনেকে কমপ্লেইন করে, আমার আইডি হ্যাক হয়েছে, এটা হয়েছে, সেটা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজে যদি সতর্ক না থাকেন, এটা আপনার পরিণতি। নিজে যদি সতর্ক থাকেন, কতগুলো বেসিক নিরাপত্তা মেনে চললে বিপদে পড়ার আশঙ্কা থাকে না।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্যানেলে ছিলেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ,  ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার মাহমুদ, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দলের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী অধ্যাপক মেরিনা জাহান। 
মতবিনিময় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্যারিস্টার শাহ আলী ফারহাদ। সমাপনী বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এইচটি ইমাম।  

এএইচএস/ এফসি

আরও পড়ুন