• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০১৯, ০৯:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৯, ২০১৯, ০৯:২৩ পিএম

দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ বাড়ল ৫ বছর

দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ বাড়ল ৫ বছর

 

দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ আরো পাঁচ বাড়িয়ে ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন-২০১৯’ বিল পাস করেছে সংসদ। এ নিয়ে নবম বারের মতো আইনটির মেয়াদ বাড়ানো হলো। বিদ্যমান আইনে চাঁদাবাজী, যান চলাচলে বাধাদানসহ ত্রাস ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির দায়ে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সংসদের বৈঠকে বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংমোধনী প্রস্তাবসমুহ কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশকৃত আকরে কন্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। এর আগে বিরোধী দল ও বিএনপির কয়েকজন এমপি বিলটি যতমত যাচাইয়ের জন্য পাঠানোর দাবি করলেও তা কন্ঠভোটে বাতিল হয়ে যায়।

বিলটি উত্থাপনের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান এই বিলের মেয়াদ বাড়ানোর কারণ হিসেবে বলেছিলেন, এই আইনটির অধীনে এক হাজার ৭০৩টি মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আইনটির মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন। এজন্য আইনটির মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বহাল রাখার প্রস্তাব করেন।

এর আগে ২০১৪ সালে পাঁচ বছরের জন্য আইনটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। গত ৯ এপ্রিল আইনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রথম ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন-২০০২’ সংসদে পাস হয় এবং দুই বছরের জন্য তা কার্যকর হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে ৬ বার এ আইনের মেয়াদ দুই বছর করে বাড়ানো হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির ১১ তারিখে এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধে সবোর্চ্চ  সাজার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে সাত বছর পর্যন্ত করা হয়। এছাড়া এই আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যাবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশে চাঁদাবাজি, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতিসাধন, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট করা, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও অরাজকতা সৃষ্টি, দরপত্র কেনা, বিক্রি, গ্রহণ বা দাখিলে বাধা দেওয়া বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা, ভয়-ভীতি দেখানো ইত্যাদি গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অধিকতর উন্নতির জন্য আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২ প্রণয়ন করা হয়েছিল। আইনটি করার সময় প্রথমে মেয়াদ দুই বছর করা হয়েছিল। পরে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে ছয় বারে এর মেয়াদ ১৫ বছর বাড়ানো হয়। সবশেষ ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল পাঁচ বছর বাড়িয়ে ১৭ বছর করা হয়। যার মেয়াদ ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল শেষ হয়। আইনের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও আরও উন্নতির জন্য মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন।

এইচএস/এসজেড