• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০১৯, ০৫:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৬, ২০১৯, ০৫:৫৭ পিএম

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নারী ক্ষমতায়নের প্রকৃষ্ট উদাহরণ

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নারী ক্ষমতায়নের প্রকৃষ্ট উদাহরণ
জাতি সংঘের এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক আলোচনায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নারী ক্ষমতায়নের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মিজ্ মারিয়া ফার্নান্দে এসপিনোসা গার্সেরজের সভাপতিত্বে ‘টেকসই বিশ্বের জন্য লিঙ্গসমতা ও নারী নেতৃত্ব’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত লিঙ্গসমতা বিষয়ক বৈশ্বিক নেতাদের অনানুষ্ঠানিক সভায় ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য লিঙ্গসমতা ও একীভূত সমাজ’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

স্পিকার বলেন, সংসদ নেতা ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় উপনেতা এবং বর্তমান মন্ত্রী পরিষদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন নারীরা। নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন রয়েছে ৫০টি এবং বর্তমান সংসদে ২৩ জন নারী সংসদ সদস্য সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। সামরিক বাহিনী, প্রশাসন, পুলিশ, আইন ও বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠানসহ সকল ক্ষেত্রেই রয়েছে নারীর দৃশ্যমান উপস্থিতি। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের নারীরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। দেশে ৪০ লাখেরও বেশি নারী তৈরি পোশাক শিল্পে কাজ করছে- যা লিঙ্গসমতার উজ্জ্বল উদাহরণ।

স্পিকার বলেন, বৈশ্বিকভাবে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠার জন্য ‘প্লানেট ৫০-৫০’ অর্জনে নারীর ক্ষমতায়নের পূর্ণ বাস্তবায়ন অপরিহার্য। এজন্য ক্ষমতা-কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে। এতে সংসদ সদস্যদের সক্রিয় ভূমিকা রাখা দরকার। আর সেটা এখনই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে লিঙ্গসমতা অর্জন ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি অতিদরিদ্র নারীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সৃষ্টি, বিধবা ভাতা, প্রসূতি নারীদের ভাতা, পেশা উন্নয়ন ও তথ্য-প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। 

স্পিকার আরও বলেন, নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। সবাইকে প্রথাগত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তাহলেই লিঙ্গসমতা অর্জন সম্ভব। 

সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ পরিষদের সভাপতি মিজ্ মারিয়া ফার্নান্দে এসপিনোসা গার্সেজ। পরে স্পিকার জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এইচএলপিএফ এর পার্লামেন্টারি ফোরাম আয়োজিত ‘গ্রোয়িং ইনিকোয়ালিটিস এন্ড ডিসট্রাস্ট ইন গভর্ণমেন্ট: ব্রেকিং দ্য সাইকেল’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্যানেল আলোচক হিসেবে তিনি বলেন, অসমতার দুষ্টচক্র ভেঙে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জন করতে হবে। অসমতা দূর করার ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রান্তিক এলাকাসমূহের মানুষের যে সকল অসমতা রয়েছে তা দূর করার উপর জোর দেন স্পিকার। তিনি বলেন, বিগত এক দশকে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে এবং অতিদারিদ্র্যের হার ২৫ ভাগ থেকে ১১ভাগে নেমে এসেছে। তিনি বিশ্বব্যাপী অসমতা দূর করতে শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের উপর জোর দেন। এসকল ক্ষেত্রে নিজ নিজ এলাকার অসমতা চিহ্নিত করে তা দূর করতে সংসদ সদস্যদেরকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। 

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) এর সভাপতি মিজ্ গ্যাব্রিয়েলা কুইভাস ব্যারন সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন। দিনব্যাপী এই আলোচনা অনুষ্ঠানসমূহে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান।

এইচএস/বিএস