• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০১৯, ০৩:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩০, ২০১৯, ০৩:৩৭ পিএম

‘পাস্তরিত দুধ নিয়ে কারসাজি আছে কি না দেখা উচিত’

‘পাস্তরিত দুধ নিয়ে কারসাজি আছে কি না দেখা উচিত’

পাস্তরিত দুধের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টিতে দেশের দুধ আমদানিকারকদের কোনো কারসাজি আছে কি না-সেটি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের এক বিশেষ সভায় লন্ডন থেকে ফোনে বক্তব্য দেয়ার সময়ে তিনি এই প্রসঙ্গে কথা বলেন। সভায় তার বক্তব্যটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্পিকারে সংযুক্ত করে শোনানো হয়।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সারা বাংলাদেশে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘পরিষ্কার রাখি চারপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন সমাজ- ডেঙ্গুমুক্ত বাংলাদেশ’ শীর্ষক ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু করছে আওয়ামী লীগ। আগামী ৩১ জুলাই, ২ ও ৩ আগস্ট বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত একযোগে সারাদেশে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি চলবে এর প্রস্তুতি হিসেবে এই সভা করলো দলটি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হঠাৎ কথা নেই বার্তা নেই একজন দুধ পরীক্ষা করে বলে দিলেন দুধ ব্যবহারযোগ্য নয়। এবং সঙ্গে সঙ্গে রিট করা হয়। সেখানে বলে দেয়া হয় পাঁচ সপ্তাহ দুধ ব্যবহার করা যাবে না বা খাওয়ানো যাবে না। আমাদের যে দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি সাধারণ মানুষের যে বেঁচে থাকার পথগুলি সৃষ্টি করা, সেগুলি কেন বাধাগ্রস্ত করা হয় এটাই আমার প্রশ্ন।’

“এখানে আমার মনে হচ্ছে যে আমদানি কারক যারা তাদের কোন কারসাজি আছে কি না সেটা আমাদের দেখা উচিত। বা তারা কোনোভাবে উৎসাহিত করছে কি না।”

তিনি বলেন, ‘যারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেন তাদের এ বিষয়ে ভাবা উচিত, দেখা উচিত। হঠাৎ একটা গুজব ছড়িয়ে রপ্তানিকে বাধাগ্রস্ত করা বা দেশের উৎপাদিত পণ্যের মান সম্পর্কে কথা বলা এটা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। কাজেই যারা গুজব ছড়াবে বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করবে তাদের উপর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ 

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমি  ঠিক জানি না হঠাৎ একজন প্রফেসর সাহেব, তার পরীক্ষার মধ্য দিয়ে একটা কথা ছড়িয়ে দিয়ে একটা রিট করা বা একটা সিদ্ধান্ত নেয়াটা এর প্রকৃত ফলাফলটা কি হবে সেটা হয়তো কেউ চিন্তা করে না। দুধ বিক্রি করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করে। আবার গরুর দুধ বিক্রি করে সেই গরুর খাবারও জোগাড় করা হয়।’

“যারা খামার করেছে বা গরু পালন করছে, তাদের কাছে থেকে দুধ কেনা হচ্ছে। এই মানুষগুলির কাছে দারিদ্র বিমোচনের জন্য মানুষকে গরু কিনে দিয়েছি। এই মানুষগুলি যদি দুধ বিক্রি করতে না পারে অর্থ জোগাড় করতে না পারে, তাহলে গরুকে কি খাবার দেবে আর নিজে কিভাবে খাবার কিনে খাবে। এই বাস্তবতাটা চিন্তা করা দরকার।”

বিদেশ থেকে যেসব দুধ আসে সেগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে কি না জানতে চেয়ে তিনি বলেন, ‘যিনি দেশের দুধটা পরীক্ষা করেছেন তিনি বিদেশ থেকে আমদানি করা গুড়ো দুধগুলো পরীক্ষা করেছেন কিনা? আমার মনে হয় তিনি এটা কখনো করেন নাই।’

“আমি অনুরোধ করবো তিনি যেন বিদেশ থেকে আমদানি করা গুড়ো দুধগুলো যেন পরীক্ষা করে দেখেন। আমরা আমাদনি নির্ভর থাকতে চাই না, স্বনির্ভর থাকতে চাই।  আমরা দেশের চাহিদা দেশের উৎপাদিত পণ্য দ্বারা মেটাতে চাই।”

আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে খাদ্যপণ্যের পরীক্ষার জন্য বিএসটিআইকে উন্নত ও আধুনিক করা হয়েছে বলে এ সময় জানান প্রধানমন্ত্রী।।

উল্লেখ্য, মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদান থাকায় সরকারের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসটিআইয়ের অনুমোদিত ১৪ কোম্পানির সবগুলোকেই ৫ সপ্তাহ পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপণন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

এএইচএস/টিএফ

আরও পড়ুন