• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০১৯, ০৮:৪৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩১, ২০১৯, ০৯:১৮ এএম

লোক দেখানো ড্রেনেজ পরিষ্কার চলছে নগরীতে! 

লোক দেখানো ড্রেনেজ পরিষ্কার চলছে নগরীতে! 
নগরীতে ডিএসসিসির ড্রেন পরিষ্কার অভিযান চলছে


নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু মশার উপদ্রব রোধ এবং বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে ড্রেনেজ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার নগরীর সার্কিট হাউজ রোড ও মিন্টো রোডের মন্ত্রীপাড়ার বিভিন্ন রাস্তা ও সড়কের পানি দ্রুত নিষ্কাশন ও দীর্ঘদিন ড্রেনে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা নিষ্কাশনের কাজ শুরু হয়।

তবে এই ড্রেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

নগরীর সার্কিট হাউজ এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম দৈনিক জাগরণকে বলেন, বাস্তবে, সিটি করর্পোরেশন ড্রেন পরিষ্কার করে না। এখন ডেঙ্গুর প্রভাব বিস্তার করার কারণে দায় এড়াতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাচ্ছেন। বিষয়টি লোক দেখানো ছাড়া কিছুই নয়। তিনি বলেন, মেয়র সাঈদ খোকন মিডিয়া কভারেজের জন্য প্রতিদিন ডেঙ্গু নিয়ে প্রচারণায় আছেন। এক বছর আগে থেকে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করলে ডেঙ্গুর প্রভাব এভাবে বিস্তার ঘটতো না বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করর্পোরেশনের উপ-প্রধান বর্জ্র ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম গতকার মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দৈনিক জাগরণকে বলেন, পরিচ্ছন্নতা অভিযান নতুন বিষয় নয়। আমাদের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান প্রক্রিয়া। নগরীর বিভিন্ন এলাকার ড্রেনগুলো থেকে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য ৩টি সাকার মেশিনের সাহায্যে ময়লা-আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এখানে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করলে তা হবে মিথ্যার শামিল। কারণ পরিচ্ছন্ন বিভাগের কাজ চলমান প্রক্রিয়া। নগরবাসী ভালোভাবেই জানেন ভোর রাত থেকে শুরু করে নগরীর বিভিন্ন এলাকার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কাজ করছেন। অহেতুক দোষারোপ করা ঠিক নয়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির পরিচ্ছন্ন বিভাগে মোট জনবল ৫ হাজার ২৪৯ জন।এর মধ্যে পরিচ্ছন্ন কর্মী রয়েছে ৩ হাজার ৮০০ জন। ড্রেন ক্লিনার ১৪২ জন, সুয়ারেজ কর্মী ৭৮ জন, ওপেন ট্রাককর্মী (যারা) গাড়িতে ময়লা-আবর্জনা তোলে ৫৭০জন। মার্কেট পরিচ্ছন্নকর্মী ২১৪জন ও ড্রাইভার ২৬ জন।

তবে নগরীর ড্রেনেজ সিস্টেম তত্ত্বাবধানকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ওয়াসার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নগরীর অধিকাংশ এলাকায় ওয়াসার ড্রেনেজ সংস্কার চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যেই যে সব ড্রেনের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে সেখানে ময়লা আবর্জনা জমার সম্ভাবনা খুব কম। 

ওয়াসার কয়েকজন প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক জাগরণকে বলেন, আসলে ঢাকঢোল পিটালেই উন্নয়ন কাজ হয় না। ঢাকা ওয়াসা ময়লা আবর্জনা দ্রুত অপসারণের জন্য নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় ড্রেন তৈরি করেছে। সিটি করপোরেশনের সম্বনয়হীনতার কারণে তাদের ড্রেনে পানি নিষ্কাশন ধীর গতিতে হয়। এ সমস্যা দূর হলে নগরীর পানি নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় প্রতিবন্ধকতা থাকবে না।



এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার পরিচালক (কারিগরি) সহিদ উদ্দিন দৈনিক জাগরণকে বলেন, নগরীর বড়বড় ড্রেনগুলো ইতোমধ্যেই সংস্কার করা হয়েছে। নতুন নতুন এলাকায় সংস্কার কাজ চলছে। ড্রেনেজের বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার বক্তব্য পরিষ্কার, যে ওয়াসার ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা নেই। তবে খালগুলোতে পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সমস্যা রয়েছে।এ সমস্যা দূরীকরণে কাজ করা হচ্ছে।

টিএইচ/আরআই
 

আরও পড়ুন