• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০১৯, ০৯:১৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৪, ২০১৯, ০৯:১৯ পিএম

স্ত্রীর শেষ কথা শোনা হলো না শাহাবুদ্দীন কোরেশীর 

স্ত্রীর শেষ কথা শোনা হলো না শাহাবুদ্দীন কোরেশীর 
সৈয়দা আক্তার ও শাহাবুদ্দীন কোরেশী - ফাইল ছবি

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত স্ত্রীর মৃত্যু সংবাদ শুনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশের পথে রওনা হয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দীন কোরেশী। রোববার (৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান তার স্ত্রী সৈয়দা আক্তার (৫৪)। আগামীকাল সকাল সাড়ে ৮টায় শাহাবুদ্দিন কোরেশীর ঢাকা পৌঁছার কথা রয়েছে। রাত ৯টায় এই রিপোর্ট লেখার সময় তিনি দেশের পথে বিমানে অবস্থান করছিলেন। পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা দৈনিক জাগরণকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

শাহাবুদ্দীন কোরেশী। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা। সর্বশেষ পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত আইজিপির দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সফরে ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। কদিন আগেই তিনি জেনেছেন, তার স্ত্রী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে ফিরে আসার প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন তিনি। এরই মাঝে দীর্ঘ জীবনের পথ চলার সাথী সহধর্মিনীকে হারানোর দুঃসংবাদটি পৌঁছায় তার কাছে। ঢাকায় ফিরে প্রিয়জনের নিথর দেহটিই শুধু দেখবেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত প্রিয়জনের পাশে থেকে একটু সেবা করার সুযোগ হলো না তার। শোনা হলো না শেষ কথাটুকুও।

শাহাবুদ্দীন কোরেশীর মতই তার স্ত্রী সৈয়দা আক্তারেরও সুনাম ছিল পুলিশ পরিবারে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি পর্দা করতেন তিনি। শৃঙ্খল ও সুস্থ্ জীবন-যাপনে অভ্যস্ত করে বড় করেছেন তিন পুত্র ও এক কন্যাকে। সৈয়দা আক্তার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল (৩ আগস্ট) তার অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ (৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় তিনি পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান।

খবর পেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শাহাবুদ্দীন কোরেশীর সহধর্মিনীকে দেখতে স্কয়ার হাসপাতালে ছুটে যান। এসময় স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতালে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।  

সৈয়দা আক্তারের মরদেহ শাহবাগের বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে। সোমবার (৫ আগস্ট) রাজারবাগে নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এর পর তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে।

 এমএএম/ এফসি

আরও পড়ুন