• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০১৯, ০৮:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১১, ২০১৯, ০৮:০৫ পিএম

ঈদে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সচেতন ডিএনসিসি‍‍`র ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড

ঈদে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সচেতন ডিএনসিসি‍‍`র ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড

দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন ও এডিশ মশার বংশ বিস্তারের সম্ভাব্য পরিবেশ যেন সৃষ্টি না হয় সে বিষয় মাথায় রেখে এরইমধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি আগেই বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। আর এলাকাভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ করে এ নির্দেশনা কার্যকর করতে এরইমধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড কর্তৃপক্ষ।

পবিত্র ঈদউল আজহায় কোরবানীর পশুর বর্জ্য বা বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত পানি যেন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করতে না পারে এবং এডিস মশার বংশ বিস্তারে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে মহানগর উত্তরের নবগঠিত ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে।

রোববার (১১ আগস্ট) সকালে স্থানীয় যুবক ও সমর্থকদের একাংশের উপস্থিতিতে ঈদ ও ঈদের পরদিন এলাকার বিভিন্ন স্থানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তদারকি ও বাসিন্দাদের সে বিষয়ে সচেতন করতে একটি বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক ইউনিট গঠনের কাজ সম্পন্ন করেন ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজ। এ ইউনিটের সদস্য নির্বাচন, কার্যক্রম ব্যাখ্যা ও কীভাবে আগামীকাল দিনব্যাপী এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে সে নিয়ে কথা বলেন তিনি।

স্থানীয় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত ডেঙ্গুরোগ প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজ-ছবি: দৈনিক জাগরণ

এ প্রসঙ্গে দৈনিক জাগরণ প্রতিবেদককে জনাব যুবরাজ বলেন, স্থানীয় পর্যায় থেকে প্রত্যেকে একটি করে কার্যক্রম গ্রহণ করলে সমন্বিতভাবে তা একটি বিশাল ক্ষেত্র সৃষ্টি করবে। যেহেতু কোরবানীর সময় বিভিন্ন স্থানে পশু জবাই করা-সহ আনুষাঙ্গিক নানা কাজ করা হবে, ফলে বিভিন্ন স্থানে উচ্ছিষ্ট বর্জ্য ও পরিষ্কারের কাজে ব্যবহৃত ময়লা পানি জমে থাকতে পারে। যেগুলো এডিস মশার বংশ বিস্তারের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করোতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটা ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারে। যেহেতু ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন এলাকাটি তুরাগ নদ ও এর সংশ্লিষ্ট জলাশয়গুলোর খুব কাছাকাছি অবস্থিত সেক্ষেত্রে অত্র এলাকায় এমন সমস্যা সৃষ্টির সম্ভাবনা আরও বেশি রয়েছে। আমরা চেষ্টা করবো সেটা যতদূর সম্ভব নিয়ন্ত্রন করতে।

এসময় তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে আগামীকাল এলাকার সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে পশু কোরবানী করতে পারেন সেজন্য নির্ধারিত স্থানগুলো প্রস্তুত রয়েছে কিনা সেটা দেখা হবে। পাশাপাশি প্রত্যেকে যেন সচেতনভাবে নিজেদের কোরবানীর স্থান ও আশেপাশের জায়গাগুলো পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে কাজ করেন সে নিয়ে প্রচারনা চালানো হবে। আর সবাই যেন নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানীর পশুর বর্জ্য ফেলেন সেটা অবগত করার কাজ করবে স্বেচ্ছাসেবকরা। দিন শেষে বিভিন্ন স্থানে জীবাণুনাশক ওষধ ও ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দেয়ার ব্যাপারেও কাজ করা হবে।

তবে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এমন কাজের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা রয়েছে কিনা, এমন এক প্রশ্নের জবাবে জাগরণকে তিনি বলেন, সরকার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন ও প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে বিভিন্ন কার্যক্রম ঘোষণা করেছে। এছাড়া মাননীয় মেয়র মহোদয়ও এব্যাপারে মাঠপর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। গত কয়েকদিন পূর্বেই তিনিএ এলাকায় গণসংযোগ ও লার্ভা নিধনের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। আমরা সে কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে করে যেতে চাই।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় পর্যায়ে নেয়া এমন উদ্যেগ তাদের পছন্দ হয়েছে। তাদের মতে গৃহিত উদ্যেগগুলো নিঃসন্দেহে ভাল। তবে সেগুলো যথাযথভাবে কার্যকর করা হয় কিনা সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করবেন তারা।

এসকে

আরও পড়ুন