• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০১৯, ০৮:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৬, ২০১৯, ০৮:৫৫ পিএম

‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো’

‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো’
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন,যার রাজনৈতিক মতাদর্শ যাই হোক না কেনো সবার একটা জায়গায় এক হওয়া দরকার, সেটা হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো। রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, রাষ্ট্রের বিরোধী দলেও থাকবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। আমরা চাই স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা যেনো কোনভাবে বাংলাদেশ প্রশ্রয় না পায়। 

সোমবার (২৬ আগস্ট)রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ প্রাঙ্গনে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অনেকগুলো বড় রাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু হত্যার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিলো। বাংলাদেশের স্বাধীন সত্তার অভ্যুদয় অনেকে মেনে নিতে পারেনি। তাই ৭১ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত অনেক বড় বড় রাষ্ট্র এ ভূখন্ডের স্বাধীনতাকে  গ্রহণ করেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অনেক কিছু বদলে গেলো। ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ হয়ে গেলো, ‘বাংলাদেশ বেতার’ ‘রেডিও বাংলাদেশ’ হয়ে গেলো, ঢাকা এয়ারপোর্টের গেটে ‘স্বাগতম’ সম্ভাষণ হয়ে গেলো ‘আহলান সাহলান’। পকিস্তানি পাসপোর্টধারী গোলাম আযমকে বাংলাদেশে পাকিস্তানের পাসপোর্টসহ আসতে দেয়া হলো। সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদকে ক্ষত-বিক্ষত করে ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়া হলো। বেনামে জামায়েত ইসলামকে এ দেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়া হলো।’ 

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, সালাউদ্দিন কাদেরদের মতো ব্যক্তিদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করে বাংলাদেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্বে শহিদের রক্তখচিত পতাকাকে চূড়ান্তভাবে ধ্বংস করে দিলেন। এভাবে জিয়াউর রহমান থেকে খালেদা জিয়ার আমলে বাংলাদেশের অর্জিত স্বাধীনতাকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া হয়েছিলো।

মন্ত্রী আরো বলেন,এরশাদ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাংলাদেশ এনে সংসদে আসার সুযোগ করে দিলেন। জাতির পিতাকে খুন করার পরে খন্দকার মোস্তাক ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারি করলেন। জিয়াউর রহমান তখন সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন। জিয়াউর রহমান খুনিদেরকে গ্রিন সিগন্যাল দিলেন খুন করার জন্য। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের বাইরে প্রতিষ্ঠিত করলেন জিয়াউর রহমান।
 
ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো যোগ করেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত জিয়াউর রহমানও অনাকাঙ্খিত হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া স্বামী হত্যাকারীদের বিচার করলেন না। খালেদা জিয়ার সন্তান তারেক রহমানও তার বাবার খুনিদের বের করে বিচারের পথ উন্মুক্ত করলেন না। অপরদিকে শেখ হাসিনা ৩৪ বছর অপেক্ষা করে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করে বাবার খুনিদের বিচার করে তাদের দর্প চূর্ণ করেছেন। সামরিক শাসকরা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করে দিয়ে বাংলাদেশ বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আজ সে জায়গা থেকে আমরা ফিরে এসেছি।
 
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো.রাশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.শহীদ উল্লা খন্দকার, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.আখতার হোসেন, রাজউক চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো.সাহাদাত হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

টিএইচ/বিএস