• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০১৯, ০৫:২২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৯, ২০১৯, ০৫:২২ পিএম

মানবিক বিবেচনায় ফেনী নদীর সামান্য পানি দেয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী 

মানবিক বিবেচনায় ফেনী নদীর সামান্য পানি দেয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী 
গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - ছবি : টিভি থেকে নেয়া

বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে ভারতকে ‘অত্যন্ত নগণ্য’ পরিমাণ পানি দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই পানি ভারতের ত্রিপুরার রামগড়ের সাবরুম এলাকার খাবার পানি হিসেবে দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যে পানি দিচ্ছি, তার পরিমাণ অত্যন্ত নগণ্য। এটা নিয়ে কেন এত চিৎকার, আমি জানি না। 

বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।    

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সবার কাছে জানতে চান, ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থল কোথায়? এসময় কেউ সঠিকভাবে বলতে না পারায় তিনি নিজেই জানান, ‘ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থল খাগড়াছড়ি। এটা খাগড়াছড়ি থেকে মাটিরাঙ্গা হয়ে ভারতের সীমান্তবর্তী নদী। ওখানকার ৪০ কিলোমিটার বাংলাদেশের অংশে, একটি অংশ সোনাগাজী হয়ে সাগরে চলে গেছে। এর বড় অংশ বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তে। সীমান্তবর্তী নদীতে দুই দেশের সমান অধিকার থাকে। পদ্মা, মাতামুহুরীসহ এমন ৭টি সীমান্তবর্তী নদী আছে। আমরা আলোচনা করেছি, যৌথভাবে এসব নদী ড্রেজিং করব। আমরা এই নদী নিয়ে কাজ করছি।’

ফেনী নদীর পানি ভারতকে দেয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের রামগড়ের সাবরুম এলাকায় খাবার পানির খুব অভাব। তারা আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে পানি তোলে। ভারতের সঙ্গে খাবার পানির চুক্তি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাহাড়টার নাম ভগবান টিলা। এটি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত। আমরা যে পানি দিচ্ছি, তার পরিমাণ অত্যন্ত নগণ্য। আমরা ভারতের ওই এলাকার খাবার জন্য এই পানি দিচ্ছি। এটা নিয়ে কেন এত চিৎকার, আমি জানি না। কেউ যদি পানি পান করতে চায়, আমরা যদি তা না দিই, সেটা কেমন হবে— প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী।

বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, তারা কি গঙ্গা চুক্তি করতে পেরেছিল? খালেদা জিয়া যখন ভারত গিয়েছিলেন, তখন কি তারা গঙ্গা চুক্তি করতে পেরেছিলেন? ফিরে আসার পরে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করল, খালেদা জিয়া বলেছিলেন— ‍ভুলেই গিয়েছিলাম। যে দল দেশের স্বার্থের কথা ভুলে যায়, তারা এত বড় কথা বলে কীভাবে?

শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন স্থলসীমান্ত চুক্তি করলেন, তখন পত্রিকা পড়লে দেখবেন— অনেকে বলেছে, দেশ বেঁচে দিল। কিন্তু তিনি আইন পাস করলেন। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর আমরা সীমানা নির্দিষ্ট করলাম। আমার প্রশ্ন— তারা (বিএনপি) কেন সীমানা নির্দিষ্ট করেনি? আমার স্বাধীন দেশ, আমার সীমানা নির্দিষ্ট থাকবে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমার প্রক্রিয়া শুরু করি।

উল্লেখ্য, বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামের ভারত অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী গত ৩ থেকে ৬ অক্টোবর ৪ দিনের সফরে নয়াদিল্লি যান। সেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগদানের উদ্দেশে তিনি ২২ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। 
 
এএইচএস/ এফসি

আরও পড়ুন