• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০১৯, ০২:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১০, ২০১৯, ০৩:১৩ পিএম

ডিএসসিসির ভাণ্ডার বিভাগ

একাই চারপদে বিনোদ চন্দ্র সরকার

একাই চারপদে বিনোদ চন্দ্র সরকার

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ক্রয় ও ভাণ্ডার বিভাগের নিম্নমান সহকারী-কাম মুদ্রাক্ষরিক বিনোদ চন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে একই পদে  থেকে নানা দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিনোদ চন্দ্রের একাই ১৬তম গ্রেড থেকে ১৪তম গ্রেডে ২টি পদ, ১৩ তম গ্রেডে একটি পদ ও মূলপদে দায়িত্ব পালন করছেন। 

অভিযোগ উঠেছে, ভাণ্ডার রক্ষক (সাধারণ), ভাণ্ডার রক্ষক (মোটরপাটর্স) এবং ব্যক্তিগত সহকারীর পদসহ মোট ৪টি পদ দখল করে ঠিকাদারদের জিম্মি করে ঘুষ আদায় করেন তিনি। এই ঘুষের টাকা মেয়রসহ প্রধান ভাণ্ডার কর্মকর্তাসহ পদস্থ কর্মকর্তাদের পকেটেও যাচ্ছে। এই ঘুষের টাকা সরবরাহ করছেন ডিএসসিসির মেয়রের আস্থাভাজন দু’জন ঠিকাদার। তারা হলেন, জসিম উদ্দিন সবুজ ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। আর দুই ঠিকাদার এককভাবে ডিএসসিসির প্রকৌশল বিভাগের টেন্ডার জালিয়াতী, ভাণ্ডার বিভাগের মশার ওষুধসহ গাড়ির টায়ার ক্রয়, কোদাল টুকরি ক্রয়সহ সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করছেন।

এরইমধ্যেই ক্রয় ভাণ্ডার বিভাগের ভাণ্ডার রক্ষক (সাধারণ), ভাণ্ডার রক্ষক (মোটরপাটর্স) এবং ব্যক্তিগত সহকারীর পদসহ মোট ৪টি পদ দখল করে দুজন ঠিকাদারের সঙ্গে রফাদফা করে বাকি ঠিকাদারদের জিম্মি করার অভিযোগে দুদক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিনোদ চন্দ্রের অত্যাচারে ঠিকাদাররা বাধ্য হয়ে ৪ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক এই অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিনোদ চন্দ্র দুর্নীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার, সেচ্ছাচারিতা, বিভিন্ন ঠিকাদারের সঙ্গে সাবকন্টাকে ব্যবসা করেন।

এ বিষয়ে ক্রয়ও ভাণ্ডার বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা উপসচিব নুরুজ্জামান দৈনিক জাগরণকে বলেন, বাস্তবে আমি এখানে অল্পদিন হলে যোগদান করেছি। তাকে কোনো পদে রাখা হয়েছে এমন জবাবে তিনি বলেন বিষয়টি একান্ত প্রশাসনের ঊদ্ধর্তন কর্মকর্তা ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। একজনকে দিয়ে ৪টি কাজ করানো মারাত্মেক সমস্যা। তিনি আরও বলেন, অচিরেই বিনোদকে তিনটি পদ থেকে সরিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এ বিষয়ে বিনোদ চন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক জাগরণকে বলেন, প্রশাসন আমাকে এখানে কাজ করতে বলেছে, তাই করি। আমাকে কী কারণে চারটি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা সচিব স্যার জানেন। 

আপনি না কি ঘুষের টাকা সংগ্রহে ব্যস্ত থাকেন? এমন প্রশ্নের জবাব শেষ না করেই তিনি প্রতিবেদককে একমুঠো টাকা পকেটে ঢুকে দেয়ার চেষ্টা করেন।

টিএইচ/একেএস

আরও পড়ুন