বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ‘পাক্ষিক অনন্যা’র সাবেক নির্বাহী সম্পাদক দিল মনোয়ারা মনু ইন্তেকাল করেছেন ইন্তেকাল ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। 

রোববার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত দুইটার দিকে তিনি রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে তিনি  ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।

দিল মনোয়ারা মনুর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে সাংবাদিক অঙ্গনে। নারী  সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ‘বেগম’ পত্রিকার নূরজাহান বেগমের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন তিনি। নারী আন্দোলনসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ-আন্দোলনের অত্যন্ত পরিচিত মুখ ছিলেন। 

দিল মনোয়ারা মনুর স্বামী শামসুল হুদা জানান, গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে মনু অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে তিনি মারা যান।

দিল মনোয়ারা নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির গণমাধ্যমবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলা, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। 

১৯৫০ সালের ২ সেপ্টেম্বর তিনি ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ইডেন কলেজে পড়াশোনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাস করেন। ১৯৭৪ সালে ‘বেগম’ পত্রিকার সহ-সম্পাদক হিসেবে তিনি সাংবাদিকতায় যুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে তিনি যোগ দেন ‘পাক্ষিক অনন্যা’য়। ২৫ বছর ‘অনন্যা’য় থাকার সময় তিনি নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দিল মনোয়ারা মনুর মরদেহ তার লালমাটিয়ার বাসায় আনা হয়েছে। লালমাটিয়ার বিবির মসজিদে বাদ জোহর প্রথম জানাজা হবে। জুরাইন কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে। 

তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা মনোয়ারা মনুর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

বিএস