• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮, ০৬:৪৪ পিএম

থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনে নিষেধাজ্ঞা

থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনে নিষেধাজ্ঞা
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ থার্টি ফাস্ট নাইটকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পাশাপাশি সরকারের তরফে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা আছে বলেও জানিয়েছে ডিএমপি।

বুধবার ডিএমপি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় এসব তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের অনেক সতর্ক হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। যাতে করে কোন কুচক্রীমহল কোন ধরণের সুযোগ নিতে না পারে।

তিনি আরো বলেন, বড়দিনের নিরাপত্তায় আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনুষ্ঠানস্থলে অপরিচিত ও সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তি দেখলে পুলিশকে জানাবেন। প্রত্যেকটি চার্চে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে থাকবে। আর্চওয়ে দিয়ে প্রতিটি দর্শনার্থীকে চার্চে ঢুকতে দেয়া হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনে নিষেধাজ্ঞা আছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, কোনো উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে কোন সমাবেশ, গান-বাজনা করা ও আতশবাজি ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ৩০ ডিসেম্বর রাত থেকেই নগরীর সকল বার বন্ধ থাকবে। যেকোন ধরনের ডিজে পার্টি নিষিদ্ধ থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরালো রয়েছে। 

আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, গতবারের ন্যায় এবারও থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইডি কার্ড ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। গাড়ি প্রবেশের ক্ষেত্রে ঢাবির স্টিকার থাকতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে পূর্বের ন্যায় শাহবাগ ও নীলক্ষেত এলাকা ব্যবহার করতে হবে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে তল্লাশির ক্ষেত্রে মেটাল ডিটেক্টর ও ডগ স্কোয়াড থাকবে। এছাড়াও থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও এ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। থাকবে চার্চ এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। আর গুলশান এলাকায় প্রবেশের জন্য কাকলী ও আমতলী ক্রসিং দিয়ে যেতে হবে। অবশ্য বাইরে বের হতে যেকোন পথ ব্যবহার করা যাবে।

সমন্বয় সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ও  সরকারের বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরআর/আরআই