• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৭:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২০, ২০১৯, ০৩:০৮ পিএম

নতুন আইন চালক-আরোহী-পথচারী— সবারই জন্য মঙ্গল

নতুন আইন চালক-আরোহী-পথচারী— সবারই জন্য মঙ্গল
জাগরণকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন চালক হাসান খান-ছবি : তোফাজ্জল হোসেন

সড়ক আইন ২০১৮

.........

নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর থাকতে হবে। পুলিশ প্রশাসন যদি দুর্বলভাবে আইন প্রয়োগ করেন তাহলে সড়কে কিছুতেই শৃঙ্খলা আসবে না। চালকরা সড়কে আগের মতোই গাড়ি চালাবে, যততত্র পার্কিং করবে, দুর্ঘটনাও হবে। তবে চালকের পাশাপাশি পথচারী-আরোহীদেরও সচেতন হতে হবে। আইন-কানুন মেনে রাস্তা পারাপার করতে হবে। ওভারব্রিজ ব্যবহারে সচেতনতার বিকল্প নেই। সড়ক আইন চালক-আরোহী-পথচারী, মোদ্দা কথা সবারই জন্য মঙ্গলজনক। কথাগুলো বলছেন এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ির চালক হাসান খান। তিনি প্রায় ৩২ বছর ধরে গাড়ির চালক হিসেবে পেশায় নিযুক্ত রয়েছেন। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দৈনিক জাগরণ এর কার্যালয়ে এক সাক্ষাৎকারে নতুন সড়ক আইন করায় সন্তোষ প্রকাশ করে সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে তিনি।

জাগরণ ● নতুন সড়ক আইন ২০১৮ কেমন হয়েছে? 

হাসান ●●  আইনটি সময়োপযোগী ও সঠিক হয়েছে। প্রায় ৩২ বছর ধরে চালক হিসাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের অফিসে গাড়ির চালক হিসাবে কাজ করেছি। অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, চালকরা সচেতন হলে সড়কে শৃঙ্খলা আসবে। যত্রতত্র গাড়ি রাখার প্রবণতা কমবে। চালকদের কারণে আজ কঠিন আইন হয়েছে। আমরা অনেকেই প্রাইভেট গাড়ি চালাই। এই গাড়ির একজন মালিক রয়েছেন। তাই পাকিং করার সময় সব দিক লক্ষ্য রাখতে হবে। পার্কিং করলে যানজটের সৃষ্টি হবে কি? সমস্যা দেখা দিলে মালিকের কাছে জিজ্ঞাসা করে নির্দিষ্ট জায়গায় গাড়ি পার্ক করতে হবে। যত্রতত্র গাড়ি রাখার দায়ে পুলিশ মামলা করতে পারে। একজন চালককে গাড়ির মালিকের মঙ্গলের কথা চিন্তা করতে হবে। যাতে কোনও মতেই গাড়ির বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করতে না পারে।

জাগরণ ● ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তার পোশাকের সাথে সিসি ক্যামেরা লাগানো প্রয়োজন মনে করেন কি? 

হাসান ●● ডিএমপি কমিশনার সম্প্রতি বলেছেন, ঢাকার প্রতিটি পয়েন্টে সার্জেন্টদের পোশাকে সাথে দুই কাঁধে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। আমার মতে, এটি করা গেলে সার্জেন্টদের কর্মকাণ্ড আরও বেড়ে যাবে। স্বচ্ছতা আসবে। অহরহ দুর্ঘটনা হবে না। কারণ তখন সিসি ক্যামেরায় সব ধরা পড়ার ভয়ে চালকরা খামখেয়ালিপনায় গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকবে। নামকাস্তে ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স’ নিয়ে নছিমন, করিমন নামে যানবাহন চালানো থেকে বিরত থাকবে তথাকথিত চালকরা। প্রতিটি ক্ষেত্রে সড়কে পরিবহন চালকদের দিকে কড়া নজর রাখতে হবে। পুলিশকে অবশ্যই চালকের সব কাগজপত্র তদারকি করতে হবে। রুট পারমিট না নিয়ে যে সব গাড়ি চলাচল করছে সেগুলোর চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পুলিশ-পরিবহন মালিকের মধ্যে ঘুষ লেনদেনসহ অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে। আমি বলবো পুলিশ যদি কঠোর থাকে, তাহলে চালকও সঠিক পথে চলে আসবে। তখন চালকরা আইন মেনে গাড়ি চালাতে বাধ্য হবে।   

জাগরণ ● সড়ক আইন কার্যকর করতে আর কী কী করা দরকার বলে মনে করেন? 

হাসান ●● রাজধানীর সব সিগন্যাল বাতি সচল রাখতে পারলে সড়ক আইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে। এ জন্য সচেনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। সড়ক আইন সঠিক কিন্ত কার্যক্রমে সার্জেন্টকে আরও সচেতন এবং সিগন্যাল বাতিগুলো অবশ্যই সচল করা দরকার। তবেই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা সম্ভব হবে।

টিএইচ/এসএমএম

আরও পড়ুন