• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০১৯, ০৯:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৬, ২০১৯, ০৯:৩৫ পিএম

‘সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলার সাহস সাংবাদিকদের থাকতে হবে’

‘সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলার সাহস সাংবাদিকদের থাকতে হবে’

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলার সাহস সাংবাদিকদের থাকতে হবে। মানুষের মধ্যে নৈতিকতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনাদের কলমের মাধ্যমে মানুষ ভালো কাজে উৎসাহিত হয়। এতে সমাজে ইতিবাচক ধারণার জন্ম নেয়। ভালো মানুষগুলো আরো উৎসাহিত হয় এবং এতে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে।

মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নতুন ভবন উদ্বোধন শেষে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। ডিআরইউ নতুন ভবন উদ্বোধন শেষে তিনি অন্যান্য নেতৃবৃন্দদের নিয়ে পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন। এরপর ‘নসরুল হামিদ মিলনায়তন’এ অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।

সাংবাদিকদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে নসরুল হামিদ বিপু বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। সাংবাদিকদের এজন্য ভালো পরিবেশ দরকার। এখন ভালো পরিবেশের কারণে আপনারা আরও ভালো সংবাদ পরিবেশন করতে পারবেন বলে আমার প্রত্যাশা। এসময় তিনি তার দপ্তরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, বরাবরের মত এবারও সরকারের বার্ষিক প্রতিবেদনে বিদ্যুৎ বিভাগ প্রথম হয়েছে।

নসরুল হামিদ আরও বলেন, ডিআরইউ নতুন ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রে স্মার্ট থিংকিং করা হয়েছে। ভবনটি নির্মাণের আগে অন্য রকম চিন্তা ছিল। কিন্তু এখন নতুন এই ভবনটি দেখে আমিই অবাক হয়ে গেছি। অসাধারণ সুন্দর ভবন নির্মাণ হয়েছে। শুধু আমার নয়, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এই ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে।

সাংবাদিকদের সমাজের দর্পণ উল্লেখ করে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সাংবাদিকরার অন্যতম অনুষঙ্গ। আপনারা সর্বদা সত্য ও সুন্দরের পক্ষে থাকবেন। দেশের উন্নয়ন ও স্বাধীনতা নিয়ে অপপ্রচারে যারা লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন। আপনাদের কলমের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরুন। দেশের উন্নয়ন সফলতার সংবাদ সারাবিশ্বে একমাত্র আপনারাই পারেন পৌঁছে দিতে। এ সময় পলক ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একটি ‘ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, একটি সময় ছিল যখন বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, ডিজিটাল সেবা শুধু স্বপ্নই নয়, ভাবনারও বাইরে ছিল। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ও ডিজিটাল সেবা পৌঁছে গেছে। এখন আর কোনো লোড শেডিং নেই। হাত বাড়ালেই ডিজিটাল সকল সেবা।

সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে চলার আহ্বান জানিয়ে সাইফুল আলম বলেন, জনগণের প্রতি, রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। সেই দায়বদ্ধতায় আমাদের পেশাদারিত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। আমরা এখনও ঐক্যবদ্ধ আছি এবং ঐক্যবদ্ধভাবে চলছি। দেশ গড়ার ক্ষেত্রে যেমন ঐক্যবদ্ধ তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষেও যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি।

দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিরি দুই হাজার সদস্যের আজ স্বপ্ন পূরনের দিন, আনন্দ-উচ্ছ্বাসের দিন। একটি সুন্দর নান্দনিক ভবন উদ্বোধন হলো। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের জন্য এটি অনেক বড় প্রাপ্তি। ১৯৯৫ সালে যখন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির যাত্রা শুরু করেছিল তখন এরকম একটি সুন্দর ভবনের কল্পনাও করা যেত না। আমরা ২৫ বছরেও যা বাস্তবায়ন করতে পারেনি তা এখন বাস্তব হচ্ছে। এজন্য আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বর্তমান কমিটিকে। জাতীয় প্রেস ক্লাবেও নসরুল হামিদ বিপু অনেক উন্নয়ন কাজ করে দিয়েছেন। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি শফিকুল করিম সাবু প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান।

উদ্বোধনী আলোচনা শেষে মাউস চেপে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নতুন ওয়েব সাইটের উদ্বোধন করেন তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় উপস্থিত অতিথিরা রিপোর্টার্স ইউনিটির ওয়েব সাইট, নতুন ভবনসহ অন্যান্য আয়োজনের প্রশংসা করেন।

টিএইচ/ এমএইচবি

আরও পড়ুন