• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯, ০৯:১৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯, ০৯:১৩ এএম

শিক্ষার্থী রুম্পার মৃত্যু, প্রেমিক সৈকত কারাগারে 

শিক্ষার্থী রুম্পার মৃত্যু, প্রেমিক সৈকত কারাগারে 
পুলিশ হেফাজতে সৈকত

রাজধানীর  স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুর তিন দিন পর গত ৭ ডিসেম্বর রাতে মোবাইলের কললিস্টের সূত্র ধরে সৈকতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। আটকের এক পর্যায়ে সৈকতকে ৮ ডিসেম্বর হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। সৈকতের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কললিষ্টের ধারাবাহিকতায় সৈকতের ৩ বন্ধুর সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে গোয়েন্দারা। সংশ্লিষ্ট ৩ বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে শুক্রবার ওই তিন বন্ধুর বাসায় গোয়েন্দারা হানা দিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট তিন বন্ধু রুম্পার মৃত্যুর পর থেকে আত্মগোপনে চলে গেছেন। 

এদিকে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর  স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রুম্পা হত্যা মামলায় কথিত প্রেমিক আব্দুর রহমান সৈকতকে (২২) রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মন্ডল শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
 
এরআগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শাহ্ মো.আকতারুজ্জামান ইলিয়াস আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষে আব্দুল হামিদ ভূইয়া জামিন প্রার্থনা করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে সৈকতকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ৮ ডিসেম্বর সৈকতের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সৈকত বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।
 
প্রসঙ্গত, গত ৪ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার পর রুম্পা রাজধানীর শান্তিবাগের বাসা থেকে বের হন। রাত পৌনে ১১টার দিকে বাসা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোড থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে পাশাপাশি তিনটি ভবনের কোনো একটি থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। ওই ঘটনার পরদিন (৫ ডিসেম্বর) রমনা মডেল থানার এসআই আবুল খায়ের একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। রুম্পার মৃত্যুর তিন দিন পর ৭ ডিসেম্বর রাতে মোবাইলের কললিস্টের সূত্র ধরে সৈকতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
 
অপরদিকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলছেন, রুম্পার মৃত্যু নিয়ে রহস্য থাকলেও শিগগিরই তা উদঘাটন করা হবে। এজন্য রুম্পার মোবাইলের কললিস্ট চেক করা হচ্ছে। এর মাধ্যমেই আসল ঘটনা জানা যাবে। বাসা থেকে বের হওয়ার আগে রুম্পাকে কে ফোন দিয়েছিল, কেন দিয়েছিল, সেসব এখন তদন্তের বিষয়। এক্ষেত্রে প্রেমঘটিত বিষয়কেও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
 
জানা গেছে, ঘটনার দিন রুম্পা দুটি টিউশনি শেষে সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন। পরে কাজ আছে বলে বাসা থেকে বের হন তিনি। বাসা থেকে নিচে নেমে নিজের ব্যবহৃত মোবাইলফোন ও জুতো বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে এক জোড়া পুরনো স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে চলে যান। রাতে আর বাসায় ফেরেননি তিনি।

গত বুধবার রাতে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর সার্কুলার রোডে কে বা কারা রুম্পাকে উঁচু ভবন থেকে ফেলে দেয়। দুই ভবনের মাঝখানে তার লাশ পায় পুলিশ। পরে ওই মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নেয়া হয়। রুম্পা মালিবাগের শান্তিবাগে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার বাবা রোকনউদ্দিন হবিগঞ্জে পুলিশের পরিদর্শক হিসেবে কমর্রত আছেন।

এইচ এম/বিএস