• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২০, ০৫:১৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২২, ২০২০, ০৫:১৮ পিএম

ই-পাসপোর্ট করার আগে জেনে নিন

ই-পাসপোর্ট করার আগে জেনে নিন

● বাংলাদেশে ‘ই-পাসপোর্ট বাস্তবায়ন ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পটির ব্যয় ধরা ৪ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা।

● জার্মানির ভেরিডোস জিএমবিএইচ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি তিন হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা।

● কাস্টম ডিউটি, ভ্যাট ও এআইটি এক হাজার ২৪ কোটি টাকা।

● প্রকল্পের অন্যান্য খরচ ২০৭ কোটি টাকা।

● ভেরিডোস জিএমবিএইচ কোম্পানি তিন কোটি ই-পাসপোর্ট বুকলেট সরবরাহ করবে।

● সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্ক ১০ বছরের জন্য রক্ষণাবেক্ষণও করবে ভেরিডোস।

● ঢাকায় নতুন স্বয়ংসম্পূর্ণ ডাটা সেন্টার, ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টার এবং অত্যাধুনিক পার্সোনালাইজেশন সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে।

● দিনে পাসপোর্ট প্রিন্ট প্রায় ২৫ হাজার।

● মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) প্রথম দুই পাতায় পাসপোর্টধারীর তথ্য থাকলেও ই-পাসপোর্টের দ্বিতীয় পাতাটি থাকবে পালিমারের তৈরি কার্ডের মতো (এটিএম কার্ড-সদৃশ)।

● কার্ডে পাসপোর্ট বাহকের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখসহ নানা মৌলিক তথ্য থাকবে।  সেই কার্ডের ভেতরে একটি মাইক্রো চিপ থাকবে। যেখানে পাসপোর্ট বাহকের সব গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল তথ্য ও ডাটাবেজ সংরক্ষিত (কিন্তু অদৃশ্যমান) থাকবে।

● ডাটাবেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি, ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ।

● দেশের ৭২টি পাসপোর্ট অফিস, বিদেশে ৮০টি মিশন, ৭২টি এসবি-ডিএসবি অফিস, ২২টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টসহ সব অফিসে সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্ক স্থাপন। 

● ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে একজন বিদেশগামী কারও সাহায্য ছাড়া নিজেই নিজের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এক মিনিটেরও কম সময়ে।

● পৃথিবীতে এর চেয়ে নিরাপদ ও অত্যাধুনিক পাসপোর্ট এখন পর্যন্ত উদ্ভাবন হয়নি।

● বিশ্বের ১১৮টি দেশে এই পাসপোর্টের ব্যবহার রয়েছে।

● প্রথম পর্যায়ে দেয়া হবে ২০ লাখ পাসপোর্ট।

● ই-পাসপোর্ট জাল করা সম্ভব নয়।

● ২৩ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) থেকে ঢাকা শহরের বাসিন্দারা ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

● বাংলাদেশে দুই ধরনের ই-পাসপোর্ট দেয়া হবে। একটি ৪৮ পাতার, অন্যটি ৬৪ পাতার। সাধারণ, জরুরি ও অতি জরুরির জন্য তিন ধরনের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

● ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ পাসপোর্টের ফি ৩৫০০ টাকা, জরুরি পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা এবং অতি জরুরি সাড়ে সাত হাজার টাকা ফি দিতে হবে। ৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদের ক্ষেত্রে সাধারণ, জরুরি ও অতি জরুরি ফি যথাক্রমে ৫ হাজার, ৭ হাজার ও ৯ হাজার টাকা।

● ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ পাসপোর্টের ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ৭ হাজার ৫০০ এবং অতি জরুরি বাবদ ১০ হাজার ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। ৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদের ক্ষেত্রে সাধারণ, জরুরি ও অতি জরুরি ফি যথাক্রমে ৭ হাজার, নয় হাজার ও ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এসএমএম

আরও পড়ুন