• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০, ০২:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০, ০৪:৫৩ পিএম

কলঙ্কময় পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবস মঙ্গলবার

কলঙ্কময় পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবস মঙ্গলবার
ফাইল ছবি

রাজধানীর পিলখানা তৎকালীন বিডিআর বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দফতরে বিডিআার বিদ্রোহের ঘটনায় শহীদদের স্মরণে  মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) শাহাদাৎবার্ষিকী পালিত হবে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।

এই বিদ্রোহের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে বিজিবি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলা হযেছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে বাসস। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শহীদ ব্যক্তিবর্গের রুহের মাগফিরাতের উদ্দেশে পিলখানার বিজিবি সদর দফতসহ সকল রিজিয়ন, সেক্টর, প্রতিষ্ঠান ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় খতমে কোরআন, বিজিবি’র সব মসজিদে এবং বিওপি পর্যায়ে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে।

সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনা ওইদিন সকাল ৯ টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানগণ (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

দিবসটি পালন উপলক্ষে বিজিবির যে সব স্থানে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন হয় সে সব স্থানে বিজিবি পতাকা অর্ধনিমিত থাকবে এবং এর ব সদস্য কালো ব্যাজ পরিধান করবে।

২৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) বাদ আসর সাড়ে ৪ টার দিকে পিলখানার কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক, শহীদ ব্যক্তিবর্গের নিকটাত্মীয়গণ, পিলখানায় কর্মরত সব অফিসার, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবীর সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মচারীগণ অংশ নেবেন।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় পৃথক মামলা হয়। এরমধ্যে বিদ্রোহ ও হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিডিআর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এ মামলায় ৮৩৪ জন আসামির মধ্যে ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।

বিদ্রোহের ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ হাজার ৪১ জনের মধ্যে পাঁচ হাজার ৯২৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এসএমএম