• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২০, ০৯:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৯, ২০২০, ০৯:৪১ পিএম

‘মার্কিন নাগরিকরা নিজেদের ইচ্ছেতেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন’

‘মার্কিন নাগরিকরা নিজেদের ইচ্ছেতেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন’

মার্কিন দূতাবাস বলেছে, কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপটে যেসব মর্কিন নাগরিক সোমবার (৩০ মার্চ) একটি বিশেষ বিমানে করে ঢাকা থেকে আমেরিকার উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন তারা তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছাতেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন।

রোববার (২৯ মার্চ) এখানে মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার কাউকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে জোর করছে না, এটি হচ্ছে, পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা (প্রত্যাবাসীরা) যা জানে এবং যে পরিস্থিতিতে তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে তার ওপর ভিত্তি করে তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছায়।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস বিস্তারের কারণে আটকা পড়া যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক যারা ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিরে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য সোমবার (৩০ মার্চ) বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং মার্কিন দূতাবাস।

মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা বলেন, এই ধরনের ব্যবস্থা কেবল বাংলাদেশে হচ্ছে শুধু তাই নয়। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট বিশ্বের ২৮টি দেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে নিতে বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করেছে।

তিনি বলেন, এটা শুধু বাংলাদেশেই ঘটছে না এবং এটি বাংলাদেশের জন্য নতুন করা হয়নি।

কিছু কূটনীতিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা (সোমবার) বিশেষ বিমানের যাত্রীর তালিকায় রয়েছেন উল্লেখ তিনি জানান, যে কূটনীতিকরা যাচ্ছেন, তারা তাদের ব্যক্তিগত পারিবারিক সমস্যার জন্য যাচ্ছেন এবং এটি মার্কিন দূতাবাসের রুটিন কাজকে বাধাগ্রস্ত করবে না।

এটি অস্থায়ী ব্যবস্থা এবং বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতির উন্নতি হলে তারা আবার বাংলাদেশে ফিরে আসবে বলেও জানান তিনি।

ব্রিফিংয়ে দূতাবাসের অপর এক কর্মকর্তা বলেন, আমি আপনাকে জানতে চাচ্ছি, যে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে, তবে সেগুলো সত্য নয়। এখানে বাণিজ্যিক বা সাধারণ কাজের সময়টাতে মার্কিন দূতাবাস উন্মুক্ত থাকছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার ঢাকায় অবস্থান করছেন এবং এখানে মার্কিন দূতাবাসের দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে প্রথম অগ্রাধিকার হল আমেরিকান নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয়া। তাই তারা যেখানেই থাকুক না কেন আমরা তাদের জন্য সব ধরনের সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছি।

মোট যাত্রীর সংখ্যা নিশ্চিত না করে মুখপাত্র বলেন, বিমানটি পরিপূর্ণ হবে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও চার্টার্ড বিমান আসার আর কোনও পরিকল্পনা আছে কিনা তাও তিনি নিশ্চিত করেনি।

বর্তমানে, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কোভিড-১৯ সংক্রামিত মানুষ রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে, আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৪৭ জন এবং তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন মারা গেছে। বাসস।

এসএমএম