• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০১৮, ০৮:৪১ পিএম

মাদকের সব শেকড় বাকড় উপড়ে ফেলব - র‌্যাব ডিজি

মাদকের সব শেকড় বাকড় উপড়ে ফেলব - র‌্যাব ডিজি

মাদকের সব শেকড় বাকড় উপড়ে ফেলব, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে অনেক দূর এসেছি, যেতে হবে বহুদূর। 
বুধবার রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাব সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত ক্যাট আধুনিক (আমরা ধূমপান নিবারণ করি) সাস্ক হু হেলদি সিটি ফোরামের উদ্যেগে মাদক সন্ত্রাস দুর্নীতি বিরোধী প্রচারণা দিবস ২০১৮ উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মাদক বিরোধী অভিযানে গত ছয় মাসে আমরা যা অর্জন করেছি, এসব কিছু দেশের জনগণ, সরকার ও মিডিয়ার জন্য সম্ভব হয়েছে। আমাদের অর্জন নিয়ে এখনি আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চাই না। মাদক নিয়ে কাজ করা অনেক বড় একটি প্রক্রিয়া, মাদক নিরসন দুই একদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে এটা আশা করা যাবে না। ৩০ বছরের সমস্যা তিন দিনে বা ছয় মাসে শেষ হবে না।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করা খুব কঠিন। আমরা যখন প্রথম কাজ শুরু করেছিলাম, তখন যারা মাদক রাস্তায় বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাওয়া, তাদের আটক করে তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে আমরা পৌঁছেছি তাদের উপরের স্তরে। সেটা লোকাল ডিলার। তাদের আটক করে তথ্য নিয়ে আমরা যারা অভিনব কায়দায় মাদক নিয়ে আসে (ক্যারিয়ার) তাদের কাছে পৌঁছেছি। ক্যারিয়ারদের ধরে আমরা এখন পৌঁছেছি কক্সবাজারে কারা বিদেশ থেকে মাদক আমদানি করে। আমরা জানি মাদকের বিরুদ্ধে অনেক লম্বা যুদ্ধ এটি, আমাদের মনোবল ও মানসিকতা আছে, সে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার’।
র‌্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, মাদক যেহেতু একটি সামাজিক সমস্যা, তাই সমাজের সকলের সমন্বয়ে এটা মোকাবিলা করতে হবে। অনেকটা ঐকিক নিয়মের অঙ্কের মতো, দশজন মিলে একটি কাজ দ্রুত সমাধান করা যায়। তিনি বলেন, কক্সবাজারে ২৩ লাখ মানুষের বসবাস, কিন্তু মাদক ব্যবসা করে সর্বোচ্চ দুই হাজার তিন’শ অথবা মাত্র ২৩০ জন। এই ২৩০ জন পুরো দেশ কিংবা ২৩ লাখ মানুষের জন্য গজব নিয়ে আসছে সেটা তো হবে না, চলুন সবাই মিলে এই গজব দূর করি। 
কক্সবাজারে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার মাদক ব্যবসা হচ্ছে, এটা বন্ধের প্রক্রিয়া কতদূর এমন প্রশ্নের জবাবে বেনজীর আহমেদ বলেন, কক্সবাজারে মাদক ব্যবসায় প্রতিদিন এক হাজার কোটি টাকা লেনদেন হলে মাসে ত্রিশ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়। আমরা দেখেছি মাদকের টাকার একটা বড় অংশ সহজেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হয়। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কক্সবাজারে কোন ইন্ডাস্ট্রি নেই, আছে শুধু ট্যুরিজম, তাহলে ওইখানে টাকা যাবে না টাকা আসবে। যদি যায় বেশি তাহলে সেটা কোথায় যায়, কেন যায়? এটা আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকেও চিঠি লিখেছি, অন্যান্য সংস্থকেও জানিয়েছি আমরা তাদের সহযোগিতা চাই। আসলে 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন সংস্থার তৈরি মাদকের গড ফাদারদের তালিকা বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাব প্রধান বলেন, আমাদের দেশে আইনের শাসন আছে, আমরা গণতান্ত্রিক দেশে বসবাস করি। মাদকের তালিকা দেখে গ্রেপ্তার করে কাউকে আমি আদালতে পাঠাতে পারি না, তার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ দরকার আছে। কক্সবাজারে মাদকের আমদানীকারকদের ধরতে গিয়ে যদি আমরা দেখি তাদের কোন ঊর্ধ্বতন মহলের লোকজন কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তি তাদের সেল্টার দেয় তবে সেসব ব্যক্তিকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। মতবিনিময় সভায় ক্যাট আধূনিক সাস্ক হু হেলদি সিটি ফোরামের চেয়ারম্যান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।