• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২১, ২০২০, ০৯:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২১, ২০২০, ০৯:১৮ পিএম

আম্ফানে সারা দেশে পৌনে ২ লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট

আম্ফানে সারা দেশে পৌনে ২ লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট
সংগৃহীত ছবি

ঘূর্ণিঝড়ে আম্ফানে সারা দেশের ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। তবে বোরো ধানের বেশির ভাগ ঘরে আসায় খাদ্য উৎপাদনে তেমন প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেছেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে হাওড়ে শতভাগ, উপকূলীয় অঞ্চলের ১৭ জেলায় শতকরা ৯৬ ভাগসহ সারা দেশে গড়ে ৭২ শতাংশ বোরো ধান কর্তন করা হয়েছে। ফলে ক্ষতির পরিমাণ সামান্য যাতে আমাদের খাদ্য উৎপাদনে তেমন প্রভাব পড়বে না।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সাতক্ষীরার আম বাগানের। সাতক্ষীরার মোট ৪ হাজার হেক্টর আম চাষের মধ্যে মাত্র ১ হাজার হেক্টর থেকে আম তুলতে পেরেছিল চাষিরা।

যে কোনও ঘূর্ণিঝড়ে কৃষিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এবার ঘূর্ণিঝড়ের খবর পেয়ে আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ১৫ মে থেকে সচেতন ছিলেন। আমাদের আগাম প্রস্তুতি থাকার কারণে তুলনামূলক কম ক্ষতি হয়েছে।

কোন ফসলের কতটুকু ক্ষতি হয়েছে— মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুসারে দেশের ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির মধ্যে- বোরো ধান ৪৭ হাজার ২ হেক্টর (শতকরা ১০ ভাগ), ভুট্টা ৩ হাজার ২৮৪ হেক্টর (৫ ভাগ), পাট ৩৪ হাজার ১৩৯ হেক্টর (৫ ভাগ), পান ২ হাজার ৩৩৩ হেক্টর (১৫ ভাগ), সবজি ৪১ হাজার ৯৬৭ হেক্টর (২৫ ভাগ), চিনাবাদাম ১ হাজার ৫৭৫ হেক্টর (২০ ভাগ), তিল ১১ হাজার ৫০২ হেক্টর (২০ ভাগ), আম ৭ হাজার ৩৮৪ হেক্টর (১০ ভাগ), লিচু ৪৭৩ হেক্টর (৫ ভাগ), কলা ৬ হাজার ৬০৪ হেক্টর (১০ ভাগ), পেপে ১ হাজার ২৯৭ হেক্টর (৫০ ভাগ), মরিচ ৩ হাজার ৩০৬ হেক্টর (৩০ ভাগ), সয়াবিন ৬৪০ হেক্টর (৫০ ভাগ), মুগডাল ৭ হাজার ৯৯৭ হেক্টর (৫০ ভাগ) এবং আউশ ৬ হাজার ৫২৮ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 কৃষিমন্ত্রী বলেন, এটি প্রাথমিক তথ্য। চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে দিতে পারব।

আম্ফানের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের বিনামূল্যে সার, বীজ ও নগদ সহায়তাসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দেয়া হবে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শাকসবজি ও মসলা চাষিদের তালিকা প্রণয়ন করে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমন মৌসুমে বিনামূল্যে সার, বীজ ও নগদ সহায়তাসহ বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করা হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, ফল ও পান চাষিদের মাত্র ৪ শতাংশ সুদে কৃষি ঋণের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

এসএমএম

আরও পড়ুন