• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০, ১২:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০, ১২:৪০ পিএম

মসজিদে বিস্ফোরণ

দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা ● ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ শহরের তল্লা এলাকার মসজিদে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে সর্বদা খোঁজ-খবর রাখছেন এবং সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। খবর ইউএনবির

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে শনিবার সকালে ১২ জনে পৌঁছেছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডা. সামন্ত লাল জানান, মসজিদে সাতটি এয়ার কন্ডিশনার বিস্ফোরণের পরে আহত ৩৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আহতদের মধ্যে সকাল ৯টা পর্যন্ত ১১ জন মারা গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

 

শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে এশার জামাত শেষ হওয়ার পর তল্লার সবুজবাগের বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসির বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৩৭ জন গুরুতর দগ্ধসহ মসজিদে সুন্নত নামাজ আদায়রত সবাই দগ্ধ হন। গুরুতর দগ্ধদের সবাইকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, তাদের শরীরের ৩০ থেকে ৯৫ ভাগ পুড়ে গেছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, মসজিদটির নিচ দিয়ে গ্যাসের পাইপলাইন নেয়া হয়েছে। সেই পাইপে ছিদ্র হয়ে গ্যাস নির্গত হচ্ছিল। পুরো মসজিদ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সব জানালা বন্ধ ছিল। এ কারণে গ্যাস বাইরে বের হতে পারেনি। ওই অবস্থায় কেউ মসজিদের ভেতরে এসি বা ফ্যানের সুইচ বন্ধ করার সময় সৃষ্ট ছোট্ট স্ফূলিঙ্গ থেকেই আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে মসজিদের ভেতরে আগুন ধরে যায় ও মুসল্লিরা দগ্ধ হন। আগুনে মসজিদের ছয়টি এসিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ ও মণ্ডলপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। পরে মসজিদের মেঝেতে পানি ছিটিয়ে গ্যাস নির্গত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি করেছে ফায়ার সার্ভিস।

কেএপি

আরও পড়ুন