• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০, ০৩:২৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০, ০৩:২৫ পিএম

বিশ্ব ওজন দিবস ২০২০ এর কর্মসূচি

বিশ্ব ওজন দিবস ২০২০ এর কর্মসূচি

বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের বিকল্প ব্যবহার জনপ্রিয় করা এবং ওজোনস্তরের গুরুত্ব ও এর সুরক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৯৪ সনের ১৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ওজোন দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে মোতাবেক ১৯৯৫ সাল হতে প্রতিবছর আন্তর্জাতিকভাবে ওজন দিবস পালিত হচ্ছে। এ বছর জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে Ozone for life: 35 years of ozone layer protection (প্রাণ বাঁচাতে ওজোনঃ ওজোনস্তর সুরক্ষার ৩৫ বছর) ।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর দিবসটি পালিত হবে। এ উপলক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিবেশ অধিদপ্তর জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।  মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী, সম্মানিত সচিব এর বাণী এবং পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালকের প্রবন্ধ সম্বলিত বিশেষ ক্রোড়পত্র জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে।

বিশ্ব ওজন দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আগারগাঁও পরিবেশ অধিদফতরের অডিটরিয়ামে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখ বিকাল ২.০০টায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটি জাতীয় সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। এ সেমিনারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, মাননীয় উপমন্ত্রী, সম্মানিত সচিব ও অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধিসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের উপরিভাগে স্ট্রাটোস্ফিয়ারে অবস্থিত ওজোনস্তর সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি ধরে রাখছে। মানুষের সৃষ্ট কিছু ক্ষতিকর গ্যাস/দ্রব্য যেমন সিএফসি, হ্যালন, কার্বন টেট্টাক্লোরাইড, মিথাইল ব্রোমাইড ইত্যাদি দ্বারা ওজোনস্তর ক্রমাগত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে চলেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীতে অতিবেগুনী রশ্মির আপতন বৃদ্ধির ফলে মানব স্বাস্থ্যসহ প্রাণী জগৎ ও উদ্ভিদ জগৎ-এর ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হবে - বেড়ে যাবে ক্যান্সার, হ্রাস পাবে শস্যের ফলন, ক্ষতিগ্রস্থ হবে সামুদ্রিক প্রাণীসম্পদ।

এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি ও বিজ্ঞানীদের সময়োচিত তৎপরতায় ১৯৮৫ সালে ভিয়েনা কনভেনশন এবং ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭ কানাডার মন্ট্রিলে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা সম্বলিত মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হয়। এই প্রটোকলের আওতায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যসমূহের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ মন্ট্রিল প্রটোকলে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যসমূহের ব্যবহার নিষিদ্ধসহ প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

জাগরণ/এমএইচ

আরও পড়ুন