• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২০, ১২:৪৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৩০, ২০২০, ১২:৪৪ এএম

‘নভেম্বরে কিছু রোহিঙ্গা পরিবারকে ভাসানচরে পাঠানো হতে পারে’

‘নভেম্বরে কিছু রোহিঙ্গা পরিবারকে ভাসানচরে পাঠানো হতে পারে’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন - ফাইল ফটো

নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে কিছু রোহিঙ্গা পরিবারকে ভাসানচর আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। তবে কতজনকে পাঠানো হতে পারে, সে সংখ্যা জানাননি মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানোর সিদ্ধান্তে সরকার অটল রয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মহাপরিচালক আমাকে বলেছেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের খাওয়ানোর জন্য কুতুপালং ক্যাম্পের চেয়ে খরচের বেশি পার্থক্য হবে না। রোহিঙ্গা যারা ভাসানচরে যাবেন তারা সেখানে মাছধরা, মুরগিপালন, গরুপালনের মতো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারবেন।

মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে অনেক বক্তব্য শুনি, কিন্তু কাজের সময় উল্টো পরিস্থিতি হয়। বিশেষ করে চীন, যাদের ওপর বাংলাদেশ অনেক আশা করেছিল তারা এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে। সবাই বলে, কিন্তু একজন রোহিঙ্গাও নিজ দেশে ফেরত যায় না। তিন বছর পার হয়ে গেছে, একজনও ফেরত যায়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে জাপানের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সাহায্য করতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। জাপানের সঙ্গে মিয়ানমারের খুব ভালো সম্পর্ক। সুতরাং আমরা মনে করেছি, জাপানের কথা মিয়ানমার শুনবে।

কক্সবাজার থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে এই প্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে আশ্রয়ন-৩ প্রকল্প, আর এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে।

এসকে