• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২১, ১০:৫৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৮, ২০২১, ১১:০৩ এএম

বাজার দর

বেড়েই চলেছে মুরগির দাম

বেড়েই চলেছে মুরগির দাম

রাজধানীর বাজারগুলোতে দুই সপ্তাহ ধরে বেড়েছে মুরগির দাম। সরবরাহ কম ও খামারিদের সিন্ডিকেটের কারণে দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। আগের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। তবে স্থিতিশীল আছে শাকসবজি। সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে আলু ও পেঁয়াজের।

শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, সোনালি ২২০ টাকা, লেয়ার ১৭০ টাকা। হাঁস প্রতি পিস বিক্রি করা হচ্ছে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা জানান, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বয়লার মুরগির কেজি ছিল ১২০ টাকা। কিন্তু বছরের শুরুতে এ জাতের মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে যায়। এক সপ্তাহ যেতে না যেতে দাম আরো ১০ টাকা বেড়েছে।

দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে তারা জানান, ক্রেতাদের কাছে বয়লার মুরগির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু দুই সপ্তাহ ধরে সরবরাহ কম থাকায় এর দাম বাড়তি। খামারিরা সিন্ডিকেট করে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে বাড়তি দামেই তাদের মুরগি কিনে আনতে হচ্ছে।

অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়তি হলেও তাদের কিনতে হয়। কারণ, অন্য জাতের মুরগির দাম আরো বেশি।

এদিকে আগের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। বস্তাপ্রতি ৫০ টাকা দাম কমলেও কেজিতে তার তেমন একটা প্রভাব পড়েনি। গত সপ্তাহের মতোই মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৪ টাকা, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৭০ টাকা, মোটা স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা এবং মোটা আটাশ ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, সরকার বাইরে থেকে চাল আমদানি না করা পর্যন্ত দাম এমন বাড়তি থাকবে। সরকার ইতিমধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বস্তাপ্রতি ৫০ টাকা দাম কমেছে। ফলে কেজিতে হয়তো এক টাকা কম দাম নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু তাতে ক্রেতা বা বিক্রেতা কারোই তেমন একটা লাভ হচ্ছে না। কারণ দাম বাড়ানোর সময় প্রতি বস্তায় ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা বেড়েছে।

কারওয়ান বাজারে চাল কিনতে আসা হাসেম নামের এক ক্রেতা বলেন, “চালের এমন বাড়তি দাম নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের ওপর একটা জুলুম। সরকারের উচিত দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।”

তবে স্থিতিশীল আছে শাকসবজির বাজার। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি করা হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা, লাউ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কুমড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা,  পেঁপে ২৫ টাকা। শিমের কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা, মুলা ১০ থেকে ২০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো ৭০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শালগম ১০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, ক্ষীরা ৩০ টাকা, মরটশুঁটি ৬০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ২০ টাকা।

কিছুটা ঝাল কমেছে কাঁচা মরিচের। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি করা হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। কাঁচা কলা ও লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। প্রতি আঁটি লাউশাক বিক্রি করা হচ্ছে ২০ টাকা, লালশাক ৫ টাকা, ডাঁটাশাক ৫ টাকা, বত্তশাক ৫ টাকা, কুমড়ার শাক ৩০ টাকা, পালংশাক ৫ টাকা।

বাজারে নতুন আলুর সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির। বাজারে এখন প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি করা হচ্ছে ২০ টাকা, পুরান আলু ৪০ টাকা। অপরিবর্তিত আছে পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৪০ টাকা, মিসর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ২৫ টাকা। দেশি আদা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৮০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ১০০ টাকা।

কিছুটা দাম বেড়েছে ভোজ্যতেলের। পুষ্টি ব্র্যান্ডের ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি করা হচ্ছে ৫৬০ টাকা, তীর ৫৬৫ টাকা, রূপচাঁদা ৫৮০ টাকা, বসুন্ধরা ৫৬০ টাকা।

তবে দাম বাড়েনি ডিমের। মুরগির ডিম প্রতি হালি ৩০ টাকা ও হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৫০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।