• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২১, ১০:৩৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৯, ২০২১, ১১:২৯ এএম

দাম কমেছে খোলা তেলের, বেড়েছে ব্র্যান্ডের

দাম কমেছে খোলা তেলের, বেড়েছে ব্র্যান্ডের

কয়েক সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় বেড়ে চলেছে ভোজ্যতেলের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা। এ অবস্থায় আরো এক দফা বাড়ল ব্র্যান্ডের বোতলজাত তেলের মূল্য। তবে এ সপ্তাহে কিছুটা দাম কমেছে খোলা তেলের।

ভোজ্যতেলের এমন দাম বৃদ্ধির জন্য ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরদের দুষছেন খুচরা বিক্রেতারা। অন্যদিকে ডিলারদের দাবি, মিলার এবং কোম্পানিগুলোই প্রতিনিয়ত দাম বাড়াচ্ছে। তবে দাম যে-ই বাড়াক না কেন, ক্ষতি ভোক্তাদেরই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে খুচরা তেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে পুষ্টি ব্র্যান্ডের ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৫৬০ থেকে ৫৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৫০ টাকা।

এ ছাড়া বসুন্ধরা ব্র্যান্ডের ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৫৭০ থেকে ৫৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৭০ থেকে ৫৬০ টাকা। তীর ৫৮৫ টাকা থেকে ৫৭৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৭০ টাকা। রূপচাঁদা ৬১০ টাকা থেকে ৬২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৮০ টাকা থেকে ৫৯০ টাকা।

তবে গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা দাম কমেছে খোলা তেলের। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২৫ টাকা। তার আগের সপ্তাহে ছিল ১১০ টাকা। পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১০৬ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১০ টাকা। অপরিবর্তিত আছে সরিষার তেলের দাম।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশির অজুহাতে ডিলার এবং ডিস্ট্রিবিউটররা প্রতি সপ্তাহে দাম বাড়াচ্ছে। তাই তাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

মো. আব্দুল হান্নান নামের এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, “তেলের বাজার খুবই অস্থিতিশীল। সকালে একবার দাম বাড়ে তো বিকালে আরেকবার। খোলা তেলের দাম বাড়ায় বোতলজাত তেলের দামও বেড়েছে। কারওয়ান বাজারে বেঙ্গল ও সিদ্দিক এই দুই ডিলার খোলা তেল বিক্রি করে। তারা মজুত থাকা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত দাম বাড়াচ্ছে। দেড় মাস ধরে এই অবস্থা চলছে।”

আব্দুল হান্নান আরো বলেন, “মাস দেড়েক আগে বসুন্ধরা ব্র্যান্ডের ৫ লিটারের সয়াবিন তেল বিক্রি করেছি ৪৮০ টাকা। কিন্তু এখন ৫৮০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। খোলা তেলের দাম না কমলে বোতলজাত তেলের দাম কমবে না।”

খোলা তেল ও পুষ্টি ব্র্যান্ডের ডিস্ট্রিবিউটর সিদ্দিক স্টোরের স্বত্বাধিকারী সিদ্দিক মহাজনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, খোলা সয়াবিন তেল ও পাম অয়েলের দাম কিছুটা কমেছে। মিলাররা দাম কমালে তারাও কম দামে বিক্রি করতে পারবেন।

সিদ্দিক মহাজন আরো বলেন, “আমি মিলারদের কাছ থেকে চার আনায় কিনে আনি, খুচরা বিক্রেতাদের কাছে আট আনায় বিক্রি করি। আমার দোকানের খরচ, লেবার খরচ, পরিবহন খরচ আছে। মিলারদের কাছ থেকে যে দামে কিনে আনি তার সঙ্গে এগুলো যোগ করে বিক্রি করি।”

এদিকে ক্রেতারা বলছেন, প্রতিনিয়ত তেলের দাম বাড়ছে। কিন্তু তাদের আয় বাড়ছে না। বাজার করতে এসে তারা প্রতিনিয়ত অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।

দুলাল নামের এক ক্রেতা বলেন, “আমার জীবনে আমি তেলের দাম এত বাড়তে শুনিনি। পাম অয়েলের লিটার হয়েছে ১০৮ টাকা। অথচ করোনার সময়ও এ তেলের দাম ছিল মাত্র ৭২ টাকা। কিছুদিন ধরে প্রতিনিয়ত দাম বাড়ছে।”