• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১, ০৫:৩৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১, ০৫:৫৭ পিএম

‘সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতেই পুলিশকে অস্ত্র’

‘সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতেই পুলিশকে অস্ত্র’

সন্ত্রাসীরা গুলি করলে সেটা প্রতিহত করতেই সরকার পুলিশকে অস্ত্র দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। 

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের (সিপিএইচ) নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন  আইজিপি।

প্রায় পাঁচ মাস পর কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ তিনজন নিহত ঘটনার প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, “বন্দুকযুদ্ধ হলে কি আমাদের লোকজন বন্দুক ফেলে পালিয়ে চলে আসবে? জকির ভয়াবহ ডাকাত, কক্সবাজারে গিয়ে খবর নেন। গত তিন বছরে তার কাছ থেকে কমপক্ষে দেড়শ’ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল (২৩ ফেব্রুয়ারি) যখন গোলাগুলিতে সে মারা গেছে, তখনও তার কাছ থেকে নয়টা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যখন এ ধরনের কোনো বিপজ্জনক আর্ম গ্যাং গুলি করবে, তখন কি আমরা শহীদ হয়ে চলে আসবো?”

প্রয়োজনের নিরিখে জীবন রক্ষার জন্য সরকারি অস্ত্র ব্যবহার করা হয় বলে বেনজীর আহমেদ বলেন, “চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এলাকার মানুষ জানে, জকির ডাকাত কী জিনিস, তার হাতে কত লোক অপহৃত হয়েছেন আর কতজন মারা গেছেন। তাই যেটা হয়েছে, সেটা আমি মনে করি প্রয়োজন হলে হবে, না হলে হবে না। এখানে ঘোষণা দিয়ে চালু করা বা বন্ধ করার কোনো বিষয় নেই।”

এর আগে সিপিএইচর নবনির্মিত ভবন প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, “গত বছরের মার্চে করোনার আবির্ভাব ঘটে। আর এতে সবচেয়ে বড় ক্যাজুয়ালিটি হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের। করোনায় প্রায় ৮৩ জন সদস্য শাহাদাত বরণ করেছেন। সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে ২১ হাজার সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল একটি জেনারেল হাসপাতাল ছিল, কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে আমরা এটিকে দ্রুত কোভিড হাসপাতাল হিসেবে রূপান্তর করি। সাড়ে ১১০০ থেকে ২৫০০ বেডে রূপান্তর করি। এখানে পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা ছাড়াও প্রায় ১৫০০ করোনা আক্রান্ত সাধারণ নাগরিককে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।”

বেনজীর আহমেদ আরও বলেন, “পুলিশ সদস্যরা খুব চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। নানা কারণে পুলিশে হার্টের রোগী, লাং, কিডনি ও ক্যান্সারের রোগী প্রচুর। প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা খরচ করি তাদের বাইরে ট্রিটমেন্ট করানোর জন্য। এ হাসপাতালকে একটা পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল তৈরির চেষ্টা করছি, যাতে সব ধরনের চিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়। আজকের পর এখানকার চিকিৎসা সুবিধা অনেক বেশি সম্প্রসারিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে বিভাগীয়- জেলা পুলিশ হাসপাতালগুলোকে উন্নত করার চেষ্টা করছি, যা পর্যায়ক্রমে করা হবে। পুলিশ মেডিক্যাল সার্ভিসেরও চেষ্টা চলছে।”