• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২১, ০১:০৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১, ২০২১, ০২:১৫ পিএম

রাইড শেয়ারিং বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

রাইড শেয়ারিং বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছেন এই পেশার সঙ্গে যুক্ত চালকরা।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার মোড়ে এই বিক্ষোভ করা হয়। পরে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের পরামর্শে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখান থেকে সরে যান বিক্ষোভকারীরা।

করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বুধবার (৩১ মার্চ) মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং বন্ধের নির্দেশ দেয় সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত (আপাতত দুই সপ্তাহ) এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার অনেককে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার করতে দেখা যায়।

চালকদের অভিযোগ, তারা রাইড শেয়ারিং করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। তাই সরকারি নির্দেশনার পরও রাস্তায় নেমেছেন। এই জন্য ট্রাফিক সার্জেন্টরা অনেক চালককে অহেতুক মামলা দিয়েছে। তাই তারা রাইড শেয়ারিং বন্ধ না করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।

বিক্ষোভ শেষে আব্দুস সালাম নামের এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, “কেউ তো শখে রাইড শেয়ারিং করে না। এখন তো অনেকেই এটাকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। কিন্তু আজ রাস্তায় নামার পর বিভিন্ন জায়গায় ধরে ধরে রাইড শেয়ারিং করা মোটরসাইকেল চালকদের মামলা দেওয়া হচ্ছে। এই টাকা আয় করতেও তো কষ্ট হয়ে যায়। এই জন্যই আন্দোলন করা।”

মামুন নামের আরেক চালক বলেন, “আমাদের তো সংসার চালাতে হয়। রাইড শেয়ারিং বন্ধ করে দিলে আমরা কীভাবে চলব? সিএনজি-বাসে কেউই তো সামাজিক দূরত্ব মানছে না। আমরা তো তা-ও দূরত্ব বজায় চলার চেষ্টা করি।”

মো. শহিদুল ইসলাম নামের আরেক চালক বলেন, “সরকার করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত রাইড শেয়ারিং বন্ধ করে দিয়েছে ভালো। কিন্তু যারা এর মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের তো একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া প্রয়োজন ছিল। এই বিষয়টা চিন্তা না করে একটা সিদ্ধান্ত নিলেই তো হলো না।

এদিকে যাত্রীরা বলছেন, এমনিতেই বাসে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। যার কারণে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও বাসে ওঠা যাচ্ছে না। তার ওপর রাইড শেয়ারিং বন্ধ করে দিলে সাধারণ যাত্রীদের তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হবে।