• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২১, ১১:৩২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৬, ২০২১, ১১:৫৬ এএম

চলছে তৃতীয় দিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউন’

চলছে তৃতীয় দিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউন’

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) তৃতীয় দিনের সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। গত দুই দিনের তুলনায় আজ রাস্তায় প্রাইভেট কার ও রিকশার সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না।

সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১৩ দফা নির্দেশনা অনুযায়ী, বুধবার ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন।

প্রথম দিন লকডাউন ভালোভাবেই বাস্তবায়িত হয়েছে। পয়লা বৈশাখের সরকারি ছুটি এবং প্রথম রোজার দিন হওয়ায় মানুষের বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা এমনিতেই কম ছিল। বুধবার ঢাকার প্রবেশ ও বের হওয়ার পথগুলোতে পুলিশের কড়াকড়ি নজরদারি আরোপ করা হয়। বসানো হয় চেকপোস্ট। এছাড়া কোভিড-১৯ চিকিৎসায় দায়িত্ব পালনকারী অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী পুলিশি হয়রানির শিকার হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে পুলিশ বলেছে, রাস্তায় বের হলে ‘মুভমেন্ট পাস’ সবার জন্য থাকা দরকার। পুলিশ হেডকোয়ার্টার সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দিন আড়াই লাখ মুভমেন্ট পাস ইস্যু করা হয়েছে।

এদিকে গার্মেন্টসহ উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানাগুলো কঠোর লকডাউনের আওতাবহির্ভূত হলেও লকডাউনের প্রথম দিন পয়লা বৈশাখের ছুটি থাকার কারণে অধিকাংশ কারখানাই বন্ধ ছিল। দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার থেকে সব কারখানা খোলা ছিল। ব্যাংকও খোলা ছিল। এই দুটি সেক্টরের লোকজন বের হন। ফলে লকডাউনের প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিন অধিকসংখ্যক লোক বাইরে বের হতে দেখা যায়। মহাসড়ক ও রাজধানীর বিভিন্ন প্রধান সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট আছে। দ্বিতীয় দিন লোক সমাগম বেশি এবং যানবাহন বেশি হওয়ায় যানজট দেখা দেয়। 

লকডাউনের তৃতীয় দিন শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটি। তাই রাজধানীর রাস্তা আজ ফাঁকা। গত দুই দিনের তুলনায় রাস্তায় চাপ নেই বললেই চলে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় লকডাউনের মধ্যেও যেসব অফিস খোলা ছিল সেগুলোও বন্ধ। তাই রাস্তায় গাড়ি নেই। আগের দুই দিন অফিস খোলা থাকায় রাস্তায় শুক্রবারের চেয়ে মানুষ ও গাড়ি বেশি ছিল। রাজধানীর কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, রামপুরা, বাড্ডা, লিংকরোড, গুলশান, মহাখালী ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিন দেখা যায়, খুব জরুরি কাজে বা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাসা থেকে বের হয়েছেন কয়েকজন। এছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। গত দুই দিনের তুলনায় আজ রাস্তায় প্রাইভেট কার ও রিকশার সংখ্যাও তুলনামূলক অনেক কম।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, “সরকারের প্রজ্ঞাপনে বলে দেওয়া হয়েছে জাতীয় পরিষেবাগুলো বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে। কাজেই এ বিষয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।”