• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২১, ০৩:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৬, ২০২১, ০৩:৩০ পিএম

নিরাপদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ডিএমপির পরামর্শ

নিরাপদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ডিএমপির পরামর্শ

বর্তমান সময়ে করোনা মহামারির কারণে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রতি ঝুঁকছেন গ্রাহকরা। সেই সঙ্গে অসচেনতার কারণে প্রতারণার শিকারও হচ্ছেন অনেকে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতারণার শিকার থেকে বাঁচতে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপির দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী, এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করে এজেন্টদের নাম ও ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করতে হবে।

সেই সঙ্গে আবেদনকারীদের নাম, ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তথ্যগুলো পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ, কর্তৃক ভেটিং করিয়ে নিতে হবে।

ঢাকা মহানগরী এলাকায় যেসব বিকাশ, ইউ ক্যাশ, মোবি ক্যাশসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর আছেন সেসব প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা (রাত্রিকালীন ছবি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন) স্থাপন করতে হবে।

স্থায়ী দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া এজেন্ট নিয়োগ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ব্যাঙের ছাতার মতো রাস্তাঘাটে, ফুটপাতে, গাছের নিচে অস্থায়ীভাবে চেয়ার-টেবিল বসিয়ে যত্রতত্র মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকের হিসাব খোলার আবেদনের ক্ষেত্রে Know your Customers (KYC) ফরম যথাযথভাবে পূরণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।

গ্রাহকের দেওয়া তথ্যগুলো ব্যাংক কর্তৃক সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমের অনুমোদন দেওয়া।

ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেন্টার থেকে যারা ক্যাশ আউট করবে (টাকা উঠাবে) তাদের ছবি, নাম-ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র, ফোন নম্বর গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় তথ্য রেজিস্টারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সব এজেন্টদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সচেতনতমূলক নির্দেশনা দেওয়া।

দুর্ঘটনা বা যেকোনও ঝুঁকি এড়াতে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার আর্মড ভেহিকেল ও নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রহরায় টাকা পরিবহন নিশ্চিত করতে হবে।

প্রয়োজনে টাকা পরিবহনে ডিএমপির ‘মানি এস্কর্ট’ সেবা নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।