• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০১৯, ১০:৪৩ এএম

গুজব ঠেকাতে ‘সাইবার পুলিশ সেন্টার’

গুজব ঠেকাতে ‘সাইবার পুলিশ সেন্টার’
ছবি: প্রতীকী

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সাইবার জগতে গুজব-অপপ্রচার ঠেকাতে ‘সাইবার পুলিশ সেন্টার’ নামে একটি বিশেষায়িত ইউনিট গঠন করা হয়েছে। 

অ্যানহ্যান্সিং সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ক্যাপাবিলিটি অফ বাংলাদেশ পুলিশ প্রকল্পের আওতায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) দক্ষিণ কোরিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় স্থাপিত সর্বাধুনিক ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেন্টার কাজ করে যাচ্ছে।

পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গুজব  ঠেকাতে পুলিশ সদর দফতরের পক্ষ থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।পুলিশ সদর দফতরেই একটি সাইবার মনিটরিং সেলও গঠন করা হয়। সারাদেশের পুলিশ সুপারদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে ও সার্বক্ষণিক নজরদারি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরও ঠেকানো যাচ্ছে না গুজব ও অপপ্রচার। এরপরই স্থায়ীভাবে এ বিষয়ে পুলিশের নতুন একটি ইউনিট গঠনের প্রক্রিয়া চলে। ইউনিট গঠনের প্রক্রিয়ার কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। যাতে কোনও অবস্থাতে কেউ গুজব ছড়িয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে।

এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের গুজব প্রতিরোধ ও অবহিতকরণ সেলের এক কর্মকর্তা বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় গুজব ছড়ানোর বিষয়গুলো নজরদারি করছে। ভবিষ্যতেও করবে। তবে গুজব প্রতিরোধে মূলত কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো। এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট হলে তারাও বিষয়টি গুজব প্রতিরোধ সেলকে অবহিত করে। যে গুজব রাষ্ট্রের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে, নাশকতা, সহিংসতা ও গণবিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে, সেসব বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়। তারা দ্রুত এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
  
এদিকে পুলিশ সদর দফতরের হিসেব মতে, গুজব ও অপপ্রচারের অভিযোগে  রাজধানীর উত্তরা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, মাদারীপুর, কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাব সদস্যরা সাত জনকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী বানোয়াট-মিথ্যা তথ্য প্রচার, গুজব ছড়ানো, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ, নির্বাচন কমিশনার, সেনাবাহিনী প্রধান, পুলিশ মহাপরিদর্শক, ডিজি র‌্যাব ও ডিএমপি কমিশনারসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ছবি বিকৃত করে অপপ্রচারের  অভিযোগ রয়েছে। 

এছাড়া সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ২০১৮ সালে আরও ৪৮ জনকে  গ্রেফতার করে র‌্যাব। শুধুমাত্র ডিসেম্বরেই ২২ জনকে  গ্রেফতার করা হয়। 

র‌্যাবের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে গুজব ছড়ানো একটি গুরুতর অপরাধ। এই অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করছে। নির্বাচনের আগে যেভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে মনিটরিং করা হয়েছে, ঠিক সেভাবে ভবিষ্যতেও মনিটরিং করা হবে। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সামাজিক  যোগাযোগ মাধ্যমে মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে। 

এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ শাখার এআইজি সোহেল রানা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানি,অপপ্রচার চালানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা গুলোর তদন্ত চলছে।  

এইচ এম/বিএস