• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২১, ১১:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৪, ২০২১, ১১:৫৭ পিএম

পরামর্শক কমিটির প্রস্তাবে কোরবানির পশুর হাট বন্ধের আহ্বান

পরামর্শক কমিটির প্রস্তাবে কোরবানির পশুর হাট বন্ধের আহ্বান
ছবি- সংগৃহিত

করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আসন্ন ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে কোরবানির হাট বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। গত সোমবার (১২ জুলাই) রাতে পরামর্শক কমিটির সভায় এ সুপারিশ করা হয়। বুধবার (১৪ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় কমিটি।

এতে বলা হয়, লকডাউনের অংশ হিসেবে কমিটি কোরবানির হাট বন্ধ রাখার প্রস্তাব করে প্রয়োজনে ডিজিটাল হাট পরিচালনার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছে। তবে সরকার লকডাউন শিথিল করে সীমিত পরিসরে কোরবানির হাট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিলে কিছু শর্ত বেধে দিয়েছে কমিটি।

সেগুলো হলো—শহর এলাকায় কোরবানির পশুর হাট বসার অনুমতি না দেওয়া। শারীরিক দূরত্ব এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে উন্মুক্ত স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া। বয়স্ক ব্যক্তি (৫০ বছরের বেশি বয়সী) এবং অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির কোরবানির হাটে না যাওয়া। হাটে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য নির্দিষ্টভাবে আলাদা পথ রাখা। বাজারে আসা সকলের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা। জনসাধারণকে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে না গিয়ে, যে যেখানে আছেন সেখানে অবস্থান করার বিষয়ে উৎসাহিত করা। জনসাধারণের অনলাইন কোরবানির হাটের সুবিধা গ্রহণ উৎসাহিত করা। বাড়ির আঙিনায় কুরবানি না করে, সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করা। ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামাত যেভাবে আয়োজন করা হয়েছিল, এবারও তেমনভাবে ঈদ-উল-আজহার জামাত আয়োজন করা।

কঠোর লকডাউন আরও ১৪ দিন বাড়ানোর সুপারিশ

কমিটি বলছে, সারাদেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এমতাবস্থায় লকডাউন শিথিল করার সরকারি সিদ্ধান্তে কমিটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি চলমান কঠোর লকডাউন আরও ১৪ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেন।

কোভিড-১৯ পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা

এতে আরও বলা হয়, সরকার সারাদেশে কোভিড-১৯ পরীক্ষার সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করছে, যা সন্তোষজনক। জাতীয় পরামর্শক কমিটির পূর্ববর্তী সভার সুপারিশের প্রেক্ষিতে বেসরকারি পরীক্ষার মূল্য পুনরায় নির্ধারণ করায় সভায় সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়। দৈনিক টেস্টের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি জন্য বেসরকারি পর্যায়েও টেস্ট বৃদ্ধি প্রয়োজন, এ লক্ষ্যে টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় কিটের দাম আরও হ্রাস পাওয়ায় পরীক্ষার মূল্য কমিয়ে ১০০০-১৫০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়।

জাগরণ/এসকে