• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১, ০৪:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১, ১০:৫১ পিএম

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীঃ

সোনারগাঁও জাদুঘর সম্প্রসারণ প্রকল্পে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

সোনারগাঁও জাদুঘর সম্প্রসারণ প্রকল্পে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
ছবি- জাগরণ।

'বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের জাদুঘর ভবন সম্প্রসারণ এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ' উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আজ সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে প্রতিষ্ঠানটির জাদুঘর ভবন সম্প্রসারণ, অডিটোরিয়াম ভবন, ক্যাফেটেরিয়া ভবন ও ডাকবাংলো ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।

প্রকল্পটির ভৌত নির্মাণকাজ চলতি বছরের ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এবং অনুমোদিত ব্যয় প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ১৪৭ কোটি ২৬ লক্ষ ০৮ হাজার টাকা।

প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাদুঘর ভবন নির্মাণের মাধ্যমে আরো অধিক সংখ্যক ঐতিহ্যবাহী লোক ও কারুশিল্পের নিদর্শন দ্রব্যের প্রদর্শন ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করা সহ ভৌত অবকাঠামো সম্প্রসারণের মাধ্যমে সুবিধা বৃদ্ধি করে অধিক সংখ্যক দর্শনার্থীর ফাউন্ডেশন পরিদর্শন নিশ্চিত করা।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় (নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের) সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, প্রকল্পটির পরিচালক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্যাহ, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শামীম বেপারী, নবনির্বাচিত সোনারগাঁও উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট শামসুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম প্রমুখ। 

উল্লেখ্য, প্রকল্পটি ছোট বড় মিলিয়ে ৩১টি ভৌত অঙ্গে বিভক্ত।  উল্লেখযোগ্য অঙ্গগুলো হলো- ছয় তলার ভিত্তিসহ পাঁচতলা জাদুঘর ভবন, ছয় তলার ভিত্তিসহ চারতলা অডিটোরিয়াম ভবন (মাল্টিমিডিয়া হল), দুই তলা ক্যাফেটেরিয়া ভবন ও তিন তলা বাংলো ভবন (রেস্ট হাউজ) নির্মাণ, লেক খনন, লেকের পাড় সুরক্ষা ইত্যাদি।

প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ। ইতোমধ্যে সয়েল টেস্ট, পাঁচটি  টেস্ট পাইল বোরিং, ৭০০টি সার্ভিস পাইল নির্মাণ, সাইট অফিস তৈরি, সার্ভিস রাস্তা তৈরিসহ প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৫%। প্রকল্পের সকল কাজ আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রি. তারিখের মধ্যে সম্পন্ন করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

জাগরণ/এসকেএইচ