• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২১, ০৪:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২৮, ২০২১, ০৪:২৭ পিএম

খালেদার বিদেশে চিকিৎসার আইনগত কোনো সুযোগ নেই

খালেদার বিদেশে চিকিৎসার আইনগত কোনো সুযোগ নেই

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আইনগত কোনো সুযোগ নেই। তার ভাইয়ের করা আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো মতামতে এমনটাই বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার যে আবেদন করেছেন, তা আইনগত কি না—তা জানার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। সেখানে আইনমন্ত্রী একটা মতামত দিয়েছেন, সেটা আমরা পর্যালোচনা করছি। যদি আমরা প্রয়োজন মনে করি আরো ঊর্ধ্বতন জায়গায় পাঠিয়ে তাদের পরামর্শ নেব। এখন আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছি, এটা নিয়ে আমাদের আরো কথা বলতে হবে।  

তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী যেভাবে লিখেছেন, সেখানে বলা হয়েছে, আইনগত কোনো সুযোগ নেই। কাজেই আমাদের অবস্থান আপনারা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন। আমরা এখন বসে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।  

মানবিক দিক বিবেচনা করা হবে কি না, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করেই ঐ ব্যবস্থা নিয়েছি। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, তার দণ্ড কার্যকর ছিল। তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছিল। তারপরও তার ছোট ভাই আবেদন করাতে তাকে আরো অধিকতর সুযোগ দেওয়ার জন্য মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী দণ্ডাদেশ স্থগিত করে বাসায় রেখে চিকিৎসাসেবা নেয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।  

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ভিতরে যেকোনো মেডিকেলে যেকোনো চিকিৎসকের চিকিৎসা খালেদা জিয়া নিতে পারবেন। এ ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এখন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার আবার আবেদন করেছেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিয়ে যাবেন। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর কাছ থেকে মতামত আসছে যে, আইনে এর কোনো সুযোগ নেই।  

এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তখন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার ভাইয়ের করা আবেদনে আইনি মতামত দিয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। আপনারা জানেন, এর আগেও এ বিষয়ে যতবার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সেই ফাইল প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গেছে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত ফাইল যাবে, আমার যে মতামত আমি এখন আপনাদের কাছে বলতে পারব না। কারণ বিষয়টি গোপন রাখতে আমি বাধ্য।

আইনমন্ত্রী আরো বলেন, আমি মতামত দিয়ে দিয়েছি। ফাইলটি এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালেয় যাবে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানিয়ে দিয়েছি। আমার মনে হয় এ ফাইলটি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যাবে, তারপর আপনারা সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন।  

এমইউ