• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২২, ১১:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ১৯, ২০২২, ১১:১০ পিএম

সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়কের পদত্যাগ

সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়কের পদত্যাগ

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) এর নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামান পদত্যাগ করেছেন। সাত সদস্যের এ কমিটি নির্বাচনের জন্য গঠিত হয়েছিল। এ পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

শনিবার (১৯ মার্চ) নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটি থেকে তিনি সরে যান বলে নিশ্চিত করেছেন ওই আইনজীবী।

তিনি বলেন, ভোট গণনার পর ওই রাতে একটি পদ নিয়ে আইনজীবীরা এমন আচরণ করেছেন যাতে আমি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি।

সম্পাদক প্রার্থীদের ভোট পুনরায় না গুনেই তিনি এ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন।

ভোটের ফলাফল জানানোর সময় বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় এক সম্পাদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে পুনরায় ভোট গণনার সিদ্ধান্ত হয় এবং ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়। সে সময় নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক জানান, শুক্রবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৩টায় দুই সম্পাদক প্রার্থীর উপস্থিতিতে ভোট পুনরায় গণনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কিন্তু গতকাল (১৯ মার্চ) তিনি সুপ্রিম কোর্টেই আসেননি। এ কারণে ভোট পুনর্গণনা এবং আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণারও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এ পরিস্থিতিতে আজ তিনি পদত্যাগ করলেন।

ভোট গণনা শেষ পর্যায়ে সভাপতিসহ ছয়টি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের (সাদা প্যানেল) ও সম্পাদকসহ ৮টি পদে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম (নীল প্যানেল) ছিল বিজয়ের পথে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল আওয়ামী লীগের প্রার্থী থেকে অল্প কয়েক ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার প্রস্তুতি নিলে সম্পাদক পদে ভোট পুনরায় গণনার দাবি তোলেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। তারা সম্পাদক পদে ভোট কারচুপি ও বাতিল হওয়া ভোট কাজলের পক্ষে গণনার অভিযোগ আনেন।

আহ্বায়ক আইনজীবী মশিউজ্জামান অভিযোগ নাকচ করে ফলাফল ঘোষণায় অনড় থাকলে মিছিল এবং হট্টগোল শুরু হয়। এ নিয়ে উপস্থিত আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ব্যাপক হৈ হুল্লোড় শুরু করেন।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সম্পাদক প্রার্থী আব্দুন নূর দুলাল লিখিতভাবে ভোট পুনরায় গণনার আবেদন করেন। আবেদন গ্রহণ না করলে উপ-কমিটির আহ্বায়ককে পদত্যাগ করতে বলেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। তার পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়। সেই থেকে সৃষ্টি হয় ফলাফল ঘোষণার অনিশ্চয়তা।