• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২২, ০৮:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২০, ২০২২, ০৮:০৩ পিএম

বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপরে তিস্তার পানি

বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপরে তিস্তার পানি

গেল সপ্তাহে বন্যার ধকল কাটতে না কাটতেই আবারো পানি বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা ব্যারেজের সবকটি জলকপাট খুলে দেয়ায় তা ভাটিতে নামতে শুরু করে। এতে জেলার হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায়, চর দ্বীপচর ও নিচু এলাকায় পানি প্রবেশ করছে।

বিশেষ করে হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা,পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকার প্রায় ৫০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েন।

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল জানান, রোববার (১৯ জুন) রাত থেকে তিস্তার পানি আবারো বৃদ্ধি পেয়ে ইউনিয়নের প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এসব পরিবারগুলোকে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে।

উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন জানান, গত দুদিন ধরে প্রায় দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়লেও তারা এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ সহায়তা পায়নি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বলেন, উজানের ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে রোববার সকাল ৬টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি বেড়ে সোমবার দুপুর ১২টা থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার তীরবর্তী পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, বন্যা কবলিত জেলার পাঁচ উপজেলায় ১৫০ মেট্রিক টন চাল ও গবাদি পশুসহ শিশু খাদ্যের জন্য ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।