• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২২, ০১:১১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৫, ২০২২, ০১:১১ এএম

পদ্মার পাড়ে সাজ সাজ রব

পদ্মার পাড়ে সাজ সাজ রব
সংগৃহীত ছবি

বাঙালির আজন্ম স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন।

শনিবার (২৫ জুন( খুলে দেয়া হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত এই সেতু। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে গেছে পদ্মাপাড়ে। উভয়পাড়ে চলছে সাজ সাজ রব।

সড়কের দুই পাশে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলো নিয়ন আলোয় আলোকিত হয়ে গেছে। এসব এলাকার মানুষের মধ্যেও একরকম উৎসবের আমেজ বয়ে যাচ্ছে।

ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে চারপাশ। বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ। জনসভার এই মঞ্চটি তৈরি হচ্ছে পদ্মা সেতুর আদলে।

মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার এলাকায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জনসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে পদ্মা সেতুর আদলেই তৈরি করা হয়েছে জনসভার মঞ্চ।

শনিবার সকাল ১০টায় উদ্বোধন হচ্ছে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার জনগণ।

এদিন স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভার আয়োজন করবে আওয়ামী লীগ। দশ লক্ষাধিক মানুষ এ জনসভায় যোগ দেবে বলে জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।  উদ্বোধনের পর টানা পাঁচ দিন পদ্মা পাড়ে চলবে আনন্দ আয়োজন।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বহুদিনের স্বপ্ন উত্তাল পদ্মায় হবে সেতু। সে স্বপ্ন পুরণ এখন দোরগোড়ায়।

পদ্মা সেতু নির্মাণ যেমন প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের জবাব, একইভাবে প্রাকৃতিক বাঁধা জয় করে প্রকৌশলীদের দক্ষতার বিজয়ও। তাই পদ্মা জয়ের বর্ণাঢ্য উদযাপন সরকারের পাশাপাশি হবে দলীয়ভাবেও।

২৫ জুন মাওয়া ও জাজিরা পদ্মার দুই পাড়েই থাকছে আয়োজন। মাওয়াতে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। এরপর সেখানে সুধী সমাবেশ হবে। জাকজকমপূর্ণ উদ্বোধন করতে প্রস্তুতির কোনও ঘাটতি রাখছে না সেতু বিভাগ।

পদ্মা সেতুর সরাসরি সুফলভোগী হবে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। তাই ওপাড়ে উচ্ছ্বাসটাও বেশি। আর উদ্বোধনী উদযাপন এ প্রান্তেই হবে বর্ণাঢ্য।

আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কাঠালবাড়ি পয়েন্টে বেলা ১১টায় শুরু হবে জনসভা। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

আশেপাশের জেলাসহ দক্ষিণের ২১ জেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যোগ দেবে এ সভায়। তাই পদ্মা পাড় জনসমুদ্রে রূপ নেবে বলে আশা করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।

পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর পর থেকে আলোচনা সমালোচনা কম হয়নি। আওয়ামী লীগ নেতাদের মতে, সেতু উদ্বোধন করে সব সমালোচনার জবাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে সারা দেশে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বড় পর্দায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রচার ছাড়াও থাকছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এখন চলছেে শেষ মুহূুর্তের প্রস্তুতি। বিভিন্ন জেলা এর মধ্যেই ছেয়ে গেছে নানা রংয়ের ব্যানার ফেস্টুনে।

চট্টগ্রাম নগরী ছেয়ে গেছে ব্যানার ফেস্টুনে, বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হচ্ছে বড় পর্দা। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের ক্ষণটি স্মরণীয় রাখতে এই উদ্যোগ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রচার ছাড়াও এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে হবে কনসার্ট।

খুলনা নগরীতেও চোখে পড়বে বড় বড় তোরণ আর আলোকসজ্জায়। বরিশাল নগরীর ৩০টি স্থান ছাড়াও ১০ উপজেলার ২২টি স্থানে বড় পর্দায় দেখানো হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এছাড়া তিনদিন ব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন।

রাজশাহীতে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্ত্বর থেকে বের হবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। স্টেডিয়ামে থাকবে দিনব্যাপী নানা আয়োজন। ফরিদপুরেও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রয়েছে দুদিনের নানা আয়োজন।

বাগেরহাটের সড়ক-মহাসড়কে শোভা পাচ্ছে বিল বোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত থাকবে লোকজ মেলাসহ নানা আয়োজন। দেশের অন্যান্য জেলাতেও পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা।

জাগরণ/যোগাযোগ/পদ্মাসেতু/এমএ/কেএপি/এসএসকে