ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চ ভাড়া বাড়ানোর পর এখন সেটি চলে গেছে বিমান ভাড়ার প্রায় সমান। লঞ্চে চারজনের একটি ভিআইপি কেবিনের ভাড়া ১১ হাজার টাকা।
বরিশাল যেতে বিমানে চারজনের ভাড়া ১৪ হাজার টাকা। কিন্তু যাত্রী খরার কারণে সরকার নির্ধারিত নতুন ভাড়াও আদায় করতে পারছেন না লঞ্চ মালিকরা।
তাই এবার তারা লঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে ভাড়া আদায়ের কৌশল খুঁজছেন।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এমনিতেই যাত্রী খরায় ধুঁকছে বেশিরভাগ রুটের লঞ্চ। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম ভাড়াতেও মিলছে না যাত্রী।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর সম্প্রতি আরেক দফা বেড়েছে লঞ্চের ভাড়া। দূরপাল্লায় ভাড়া বেড়েছে ২২ শতাংশ। আর একশ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে বেড়েছে ৩০ শতাংশ।
ঢাকা-বরিশাল রুটে ডেকের ভাড়া ছিল ৩৫২ টাকা। এখন সেই ভাড়া ৪৫৭ টাকা। ১৪০০ টাকার সিঙ্গেল কেবিন এখন ১,৮০০ টাকা। ২৮ টাকার ডাবল কেবিন ৩,৬০০ টাকা।
কিন্তু যাত্রী খরার কারণে নির্ধারিত নতুন ভাড়ার অর্ধেকও আদায় করতে পারছে না লঞ্চ মালিকরা। মালিক পক্ষ স্বীকার করেছে, সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় তাদের পক্ষে যাত্রী পাওয়া অসম্ভব। সে কারণেই তারা অর্ধেক ভাড়ায় যাত্রী নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
লঞ্চের কর্মচারীরা জানান, গেল নভেম্বরে তেলের দাম বাড়ানোর পর ডেকের ভাড়া ৩৫২ টাকা করা হয়। তখন সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ১,৪০০ টাকা করা হয়েছিল।
কিন্তু পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর ডেক ভাড়া দুই থেকে ২৫০ টাকায় নামানো হয় এবং সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া এক হাজার টাকা আর ডাবল কেবিন দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা করা হয়।
এতে ধীরে ধীরে যাত্রী বাড়লেও, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় এবার লঞ্চের ভাড়া বেড়েছে। যদিও বাড়তি ভাড়ায় যাত্রী নেয়া শুরু করলে আবারও যাত্রী কমতে থাকবে।
দুই ঈদ আর বছরজুড়ে লম্বা ছুটিতে যাত্রীর চাপ বাড়লে সরকার নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর করার আশায় আছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
সেই সাথে যাত্রী খরা পুষিয়ে নিতে লঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে রোটেশন পদ্ধতিতে সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায়ের উপায় খুঁজছেন মালিকরা।
কারণ, দক্ষিণাঞ্চলের কেবিন নির্ভর লঞ্চগুলোতে যাত্রী কমলে লোকসান হবে। তাই সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাড়া রাখার চেষ্টা করছেন তারা।
জাগরণ/যোগাযোগ/এসএসকে