• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩, ০৫:৫২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩, ০৫:৫২ পিএম

কালশী ফ্লাইওভারে যান চলাচল শুরু ১৯ ফেব্রুয়ারি

কালশী ফ্লাইওভারে যান চলাচল শুরু ১৯ ফেব্রুয়ারি
ছবি ● সংগৃহীত

রাজধানীর সড়ক নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে আরও একটা ফ্লাইওভার। ১৯ ফেব্রুয়ারি (রোববার) যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ কালশী ফ্লাইওভার।

প্রশস্ত সড়ক, নান্দনিক ফুটওভার ব্রিজ এবং ফুটপাত বদলে দিয়েছে এক সময়ের ঘিঞ্জি কালশী এলাকাটি। মেট্রোরেলের পর, এই ফ্লাইওভার বদলে দেবে মিরপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা।

রাজধানীর অংশ হয়েও এক সময় কালশী ছিল নেহাত এক দরিদ্র জনপদ। সারি সারি বস্তিঘর আর বিহারী ক্যাম্প। সরু রাস্তায় ছিলো না ড্রেনেজ ব্যবস্থা।

কিন্তু এখন বদলে গেছে সেই কালশী। মিরপুরের সাথে বিমানবন্দর, গুলশান, বনানী, বারিধারার যোগাযোগের অন্যতম পথ হয়ে উঠেছে কালশী সড়ক।

গাড়ি চলাচল বেড়ে যাওয়ায় এই পথে তৈরি হতো তীব্র যানজট। সেই জট খুলতেই নতুন এই ফ্লাইওভার। নির্মাণকাজ শেষ। এখন চলছে সৌন্দর্যবর্ধনও ও আনুষাঙ্গিক কাজ।

১৯ ফেব্রুয়ারি (রোববার) প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর খুলে দেয়া হবে ফ্লাইওভারটি। উত্তর সিটির উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন।

ফ্লাইওভারটি ইসিবি চত্বর থেকে কালশী মোড়, মিরপুর ডিওএইচএস ও মিরপুর সাড়ে এগারো নম্বর পর্যন্ত চলাচলকে নির্বিঘ্ন করবে।

কয়েক কোটি মানুষের এ নগরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা মিরপুরের সঙ্গে বিমানবন্দর, উত্তরা; অন্যদিকে বাড্ডা, বনানী ও মহাখালীর সঙ্গে তৈরি হচ্ছে নতুন এ পথ।

ইসিবি চত্বর থেকে এই উড়ালপথ ধরে চলে যাওয়া যাবে পল্লবী কিংবা মিরপুরে। ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য দুই হাজার ৩৩৫ মিটার। ৪৭৫ মিটারের র‌্যাম্প রয়েছে পাঁচটি।

৬৮টি স্প্যানের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এই উড়ালসড়কের গার্ডার সংখ্যা ১৭টি। সমান তালে চলতে তৈরি হয়েছে নিচের সড়কের কাজও। চার কিলোমিটারের সেই সড়ক নির্মাণকাজও শেষ।

সেই সড়কও সেজেছে নতুন সাজে। আছে সুপরিসর ফুটপাত, বাস বে। তৈরি হয়েছে নান্দনিক ফুটওভার ব্রিজ। সব মিলে গোটা এলাকাই যেনো বদলে গেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, যেন রাতারাতিই সব বদলে গেলো। তাদের এতোদিনের কষ্টের যেন অবসান হলো। নতুন এক দৃষ্টান্তও তৈরি করেছে এই প্রকল্প।

কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো আগামি জুনে। চার মাস আগেই শেষ হলো এই নির্মানযজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর এটি জনগণের জন্য খুলে দেয়া হবে।

উদ্বোধনীকে ঘিরে চারদিকে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। চলছে ঘষামাজা আর সৌন্দর্যবর্ধন। সব ঠিক থাকলে ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাগরণ/যোগাযোগ/এসএসকে/এমএ