• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৯, ০৬:২৩ পিএম

পাটের হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে সরকার তৎপর: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

পাটের হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে সরকার তৎপর: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী


বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, বিজেএমসির অধীন পাটের মিলগুলোকে লাভজনক করতে সরকার সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। এর জন্য গত দশবছরে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

পদক্ষেপসমূহের মধ্যে পাটের উৎপাদন বাড়ানো, উৎপাদিত পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণ, পাট চাষিদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে পাট কেনা, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা এবং পাট পণ্য ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পাদিত সমঝোতা স্বাক্ষর চুক্তিগুলো বাস্তবায়ন করা। 

সোমবার জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-৪ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি দিদারুল আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। 
মন্ত্রী আরো বলেন, ২০০৯-১৮ সময়ে মোট পাঁচটি বন্ধ মিল চালু করা হয়েছে। মিলগুলো হচ্ছে, -পিপলস জুট মিলস লিমিটেড (বর্তমানে খালিশপুর জুট মিলস), কওমী জুট মিলস্ লিমিটেড (বর্তমানে জাতীয় জুট মিলস), দৌলতপুর জুট মিলস্ লিমিটেড, কর্ণফুলী জুট মিলস্ লিমিটেড ও ফোরাত কর্ণফুলী কার্পেট ফ্যাক্টরি।

এসব মিলগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধি ও মান উন্নয়নে খুলনা, চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় ৩টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এর আওতায় কম্পিউটারসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ১৬ হাজার ৯শ’জনকে। 

রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিনের অনুরূপ প্রশ্নের জবাবে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বর্তমানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি পাটকলের সংখ্যা ৩০টি। এর মধ্যে ২৯টি জুট মিল চালু আছে। এছাড়া বেসরকারি পাটকলের সংখ্যা ২৮১টি যার মধ্যে ৫৬টি কল বন্ধ রয়েছে।

আরআই