• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯, ০৬:২৯ পিএম

‘আদালতের রায় বাংলায়ও প্রকাশ করতে হবে’

‘আদালতের রায় বাংলায়ও প্রকাশ করতে হবে’
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে প্রধানমন্ত্রী- ছবি: টিভি থেকে নেয়া

 

আদালতের রায় ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায়ও প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ভাষা আর্কাইভের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনায় শোক ও সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চকবাজারে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ শুরু করে। যারা আহত হয়েছেন তাদের তাড়াতাড়ি সুচিকিৎসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে বলেন, সেসময়ে বঙ্গবন্ধু কারাবন্দি থাকলেও তিনি ভাষা আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি নেতাকর্মীদের ভাষার দাবিতে আন্দোলনে নির্দেশনা দিয়েছেন। বাংলা ভাষাকে আঞ্চলিক ভাষা করা যায় কিনা সোহরাওয়ার্দীর এমন প্রস্তাবকে সরাসরি নাকচ করে দিয়েছিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমাদের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠদের ভাষাসহ বিভিন্ন দেশের হারিয়ে যাওয়া ভাষা এখানে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

মাতৃভাষা জানা ও শিক্ষা গ্রহণ অপরিহার্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজের ভাষা শেখার পাশাপাশি অন্য ভাষা শেখার সুবিধার্থে ৯টি ভাষা দিয়ে একটি অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। যা দিয়ে বিভিন্ন ভাষা শেখা যায়।

আদালতের রায় ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায়ও প্রকাশ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইংরেজিতে রায় হওয়ার কারণে সবাই বুঝতে পারেন না। এ কারণে অনেকে হয়রানির শিকার হন। তাই আদালতের রায় সবার বোঝার জন্য বাংলায়ও প্রকাশ ও প্রচার করার অনুরোধ করেন তিনি।

আঞ্চলিক ভাষা দিলে নিজেদের অস্তিত্তই থাকেনা মন্তব্য করে তিনি বলেন, আঞ্চলিক ভাষা বাদ দিয়ে নয় তবে প্রমিত বাংলা আমরা ব্যবহার করবো।

সিক্রেট ডকুমেন্টকে বিশাল ভাণ্ডার হিসেবে নির্দেশ করে তিনি বলেন, বদরুদ্দীন উমরের এর সমালোচনা করলেও এটি ৪র্থ খণ্ড পর্যন্ত প্রকাশ করা হলেই তিনি বুঝতে পারবেন তিনি কতটা ভুল।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে ভারতের ভাষাবিজ্ঞানী গণেশ দেবি বলেন, ভাষার বৈচিত্র একটি দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলে, তাই সকল জাতিগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, বাংলার পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা নিয়ে গবেষণার জন্য ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয় প্রতি বছরই। এবারো দু'দিনের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে ইনস্টিটিউটটি।

 

সাইসে