• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২১, ০২:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২০, ২০২১, ০২:২৮ পিএম

জঙ্গিবাদ মৌলবাদ আমেরিকার আশীর্বাদ

জঙ্গিবাদ মৌলবাদ আমেরিকার আশীর্বাদ

পৃথিবীর আলোর উৎস যেমন সূর্য, তেমনি পৃধিবীর সন্ত্রাসের উৎস ব্রিটিশ-আমেরিকা। কমিউনিজম ঠেকানোর নামে হেন সন্ত্রাস নেই যা তারা করেনি। তবে সব কমিউনিজম নয়; শুধু মস্কোপন্থি কমিউনিজম ঠেকানোই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। কেননা, সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল আমেরিকার প্রতিপক্ষ, প্রতিদ্বন্দ্বি। চীনপন্থি কমিউনিজম ছিল আমেরিকার সহযোগী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কমিউনিজমের ছিল জয়জয়কার অবস্থা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। নতুন নতুন স্বাধীন দেশের আবির্ভাব হয়। আর তাতেই কমিনিউজম জেকে বসে। কমিউনিজম ঠেকাতে আমেরিকা সর্বশক্তি প্রয়োগ করে। কমিউনিজম রাজনীতিতে ধর্মের কর্তৃত্ব স্বীকার করা হতো না। তখন আমেরিকা কমিউনিজমের বিরুদ্ধে ধর্মকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেয়। আমেরিকার নেতৃত্বে পুঁজিবাদীগোষ্ঠী ধর্মান্ধ জনগোষ্ঠীকে অর্থ, অস্ত্র, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি দিয়ে এক একটা জঙ্গিগোষ্ঠী তৈরি করতে থাকে। মৌলবাদী রাজনীতিকে উৎসাহিত, সামরিক শাসনকে উসকে দিতে থাকে। আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত বাহিনী ও কমিউনিজম উৎখাত করতে মাদ্রাসার তালেবানদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। তালেবান মানে ছাত্র। মুজাহিদিন, তালেবান, লাদেন, আল কায়েদা আমেরিকার সৃষ্টি। যতদিন আফগানিস্তানে কমিউনিজম ও সোভিয়েত বাহিনী ছিল, ততদিন আমেরিকার কাছে তালেবান, লাদেন, আল-কায়েদার কদর ছিল। যেদিন আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত বাহিনী বিদায় নিল, সেদিন থেকেই আমেরিকার কাছে তালেবান, লাদেনের গুরুত্ব ফুরিয়ে যায়। তখন গুরুর কাছে প্রিয় শিষ্যরা হয়ে যায় কুলাঙ্গার, জঙ্গি, সন্ত্রাসী।

..............‘’..............

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক নতুন নীতি প্রবর্তন করলেন। কি সেই নীতি? নীতিটি হলো- আমেরিকা কোনো দেশের সরকার উৎখাত করতে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেবে না। তার পরিবর্তে তারা ঐ দেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে অস্ত্র দেবে। এভাবেই মধ্যপ্রাচ্যে তারা নিজেরা না গিয়ে সৃষ্টি করে দিল আইএস। ওবামার নোবেল শান্তি পুরস্কারের ফল আইএস সৃষ্টি।

..............‘’..............

রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ থাকে। বিশ্ব রাজনীতিতেও প্রতিপক্ষ আছে, থাকবে। রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবেলা করা উচিত। রাজনীতিকে ধর্ম ও সন্ত্রাস দিয়ে মোকাবেলা করলে সাময়িক ফল হয়তো পাওয়া যায়; কিন্তু আখেরে তার ফল শুভ হয় না। সাপ নিয়ে যারা খেলে সাপ তাদেরও ছাড়ে না। আফগানিস্তান তার উদাহরণ। কমিউনিস্ট বা সোভিয়েত ইউনিয়ন আমেরিকার কী পরিমাণ ক্ষতি করেছে জানা নেই। কিন্তু আমেরিকার প্রিয় দোস্ত আল-কায়েদা ২০০১ সালে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বোমা হামলা করে আমেরিকার যে ক্ষতি করেছে- তা কি তার প্রতিপক্ষের কেউ করেছে? করেনি। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বিশ্বে তার প্রতিপক্ষ নেই। তার প্রিয় শিষ্যরাই আজ তার প্রতিপক্ষ। ২০০১ সালে  আমেরিকা তার প্রিয় শিষ্য তালেবানদের উচিত শিক্ষা দিতে আফগানিস্তানে সেনা পাঠান। এক ট্রিলিয়ন ডলারের অধিক অর্থ খরচ করেন। ফলাফল শূন্য। বরং, ৩০০০ মার্কিন সৈন্য তালেবানের হাতে নিহত হয়। ওদিকে টুইন টাওয়ার হামলায়ও ৩০০০ মার্কিন নাগরিক নিহত হয়। রক্ষণশীল তালেবানদের হাতে সাধারণ নারী-পুরুষ কি কম নির্যাতিত হয়েছে বা হচ্ছে? এরই মধ্যে তালেবান ধার্মিকেরা যেসব অঞ্চল দখলে নিয়েছে সেসব অঞ্চলে শরিয়া শাসন জারি করেছে। ১৫/০৮/২০২১ তারিখে বিনাযুদ্ধে তালেবান আফগানিস্তান দখল করে নেয়। এখন তারা শান্তি স্থাপনার কথাবার্তাও শোনাচ্ছে বিশ্ববাসীকে। পরিস্থিতি বিচারে এই মূহুর্তে না হলেও সময় বুঝে তারা পূর্বের মতো কঠোর শরিয়া আইন জারি করবেই এবং তাদের আসল চেহারায়ও হাজির হবে। ইতোমধ্যেই তারা তার কিছু কিছু শুরু করে দিয়েছে। ১৩/০৮/২০২১ তারিখের দৈনিক জাগরণ ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের বরাতে একটা নিউজ করেছে যে, তালেবানরা আফগানদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অবিবাহিত মেয়েদের খুঁজছে এবং যাকে পাচ্ছে তাকেই তালেবান জিহাদিদের সাথে বিয়ে দিচ্ছে। জিহাদিদের মনোবল চাঙ্গা করতে এসব করা হচ্ছে। তালেবানরা এটা করবেই। তারা আরও করবে। তারা নারীদের শিক্ষা-চাকরি বন্ধ করবে, নারীদের ঘরে অবরুদ্ধ করবে, পুরুষের একাধিক বিয়ে চালু করবে। খেলাধুলা, নাচ, গান, বাজনা, রেডিও, টিভি, নাটক, সিনেমা এক কথায় বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বন্ধ করবে। ভিন্নমত চলবে না। পাথর ছুড়ে মানুষ হত্যা করবে, মানুষের শিরচ্ছেদ করবে। তাদের কাছে আধুনিকতা মানে নাস্তিকতা। এসব তো জানা কথা। এসব তাদের ইশতেহার। কিন্তু আমার প্রশ্ন এর জন্য কে দায়ী? আমেরিকা কি এর দায় এড়াতে পারে? আমেরিকা কি এর জন্য দায়ী নয়? তারা আগুন নিয়ে খেলবে, তাতে সাধারণ নিরীহ মানুষ পুড়ে মরবে আর তারা চেয়ে চেয়ে দেখবে। আবার তারা মানবতার বুলি আওড়াবে। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাবে। বিশ্ব যুদ্ধাপরাধী, বিশ্ব সন্ত্রাসের অন্যতম জনক হেনরি কিসিঞ্জার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক নতুন নীতি প্রবর্তন করলেন। কি সেই নীতি? নীতিটি হলো- আমেরিকা কোনো দেশের সরকার উৎখাত করতে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেবে না। তার পরিবর্তে তারা ঐ দেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে অস্ত্র দেবে। এভাবেই মধ্যপ্রাচ্যে তারা নিজেরা না গিয়ে সৃষ্টি করে দিল আইএস। ওবামার নোবেল শান্তি পুরস্কারের ফল আইএস সৃষ্টি। আরেক যুদ্ধবাজ ও ঘোর সাম্রাজ্যবাদী নেতা ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল। তাকেও নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। তবে, তাকে তো শান্তিতে দেওয়া যায় না; তাই তাকে দেওয়া হয় সাহিত্যের নাম করে।

..............‘’.............

বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে বাদশাহ আমানুল্লাহ খান যখন আফগানিস্তানে পাশ্চাত্যের আধুনিক শাসন ব্যবস্থা চালু করতে থাকেন তখন ব্রিটিশ সরকার আমানুল্লাহ খানের বিরুদ্ধে অর্থ, অস্ত্র দিয়ে মোল্লাদের উস্কে দেয়। তাতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। আমানুল্লাহ খানের পতন হয়।

..............‘’..............

আইএস ধর্মের নামে ইসলামি খিলাফত ঘোষণা করে। সারা বিশ্ব থেকে ধার্মিক মুসলমান ভাই-বোনেরা আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায়, মধ্যপ্রাচ্যে রওয়ানা দিল। শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের হিড়িক পড়ে গেল আইএসে যোগ দিতে। তাতে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রফেসরও বাদ যাননি। আমার মনে একটা প্রশ্ন ছিল- তা হলো, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্বেচ্ছায় যুবতী মেয়েরা কেন আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় যাচ্ছে? গত পরশু একজনের কাছ থেকে এর কারণ জানতে পারলাম। তিনি জানালেন, মেয়েদের এমনভাবে মগজ ধোলাই দেওয়া হয়েছে যে, যারা আল্লাহর শাসন কায়েমের জন্য যুদ্ধ করে তারা হচ্ছে জিহাদি। জিহাদিরা ফেরেশসাতুল্য, আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা। যুদ্ধে জিহাদিদের পাশে দাঁড়ানো প্রত্যেকটা মুমিন নর-নারীর পবিত্র কর্তব্য। যুদ্ধের সময় জিহাদিদের মনোবল অটুট রাখতে কোনো নারী যদি তাদের যৌনসুখ দিতে পারে, তার জন্য আল্লাহ জান্নাতের দরজা খুলে দেবেন। জিহাদিদের শুক্রানু দ্বারা যদি কোনো সন্তান উৎপাদিত হয়, সে সন্তান সরাসরি জান্নাতে যাবে। আর ‘যুদ্ধে মরলে শহিদ, বাঁচলে গাজি’ এ মন্ত্র তো আছেই। শহিদের জন্য জান্নাতের দরজা খোলা। ধর্মের নামে আইএস মধ্যপ্রাচ্যকে ছাড়খাড় করে দিল। আইএসের অত্যাচার অনেক বেড়ে গেল। আমেরিকা এক সময় তাদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দিল। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদকে রক্ষা করতে রাশিয়া পাশে দাঁড়াল। আইএস এর পরাজয় হতে থাকল। সিরিয়ার এমন কোনো বাড়িঘর, অবকাঠামো নেই যা অক্ষত আছে। লিবিয়া, ইরাকের অবস্থাও তাই। সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাককে ঘুরে দাঁড়াতে কত বছর লাগবে কে জানে? ধর্ম যুদ্ধের নামে মধ্যপ্রাচ্যের লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হলো, মানুষের দুর্ভোগ হলো, অর্থনীতি শেষ হলো, মানুষের রক্ত ঝরল- এর জন্য দায়ী কে? এ দায় থেকেও আমেরিকা দূরে থাকতে পারে না। কেননা ধর্মান্ধতা এক ধরনের নেশা। এ নেশা নিয়ে খেলা ছিল আমেরিকার পেশা। একটা শিক্ষিত সভ্য জাতি কিভাবে মানুষের নেশা নিয়ে খেলে, মানুষকে নেশায় ভাসিয়ে দেয় এর কোনো সদুত্তর আমার মাথায় আসে না।

বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে বাদশাহ আমানুল্লাহ খান যখন আফগানিস্তানে পাশ্চাত্যের আধুনিক শাসন ব্যবস্থা চালু করতে থাকেন তখন ব্রিটিশ সরকার আমানুল্লাহ খানের বিরুদ্ধে অর্থ, অস্ত্র দিয়ে মোল্লাদের উস্কে দেয়। তাতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। আমানুল্লাহ খানের পতন হয়। ভারতে জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর যখন জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে- তা নস্যাৎ করতে ব্রিটিশ সরকার ভারতে শুরু করে দিল সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, ভাগ কর ও শাসন কর নীতি (Dvide and Rule Policy) । ফলশ্রুতিতে, ১৯৪৭ সালে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে সৃষ্টি হলো পাকিস্তান। পাকিস্তান সৃষ্টির পর তার মাথায় মার্কিন ভুত চেপে বসে। পাকিস্তানে সামরিক শাসন, ধর্মীয় মৌলবাদ ও জঙ্গি উৎপাদন, লালন-পালন ও সম্প্রসারণে যত ধরনের সাহায্য সহযোগিতা লাগে তা দিয়েছে আমেরিকা। উদ্দেশ্য সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারতের বিরুদ্ধে তাদের ব্যবহার করা। আবার যখন আমেরিকা পাকিস্তানকে জঙ্গি দমন করতে বলল, পাকিস্তান বলল, ঠিক আছে টাকা দেন। আমেরিকা পাকিস্তানকে টাকা দেয়। টাকা পেয়ে পাকিস্তান দুইজন জঙ্গি মারে, গোপনে চারজন সৃষ্টি করে। আমেরিকার কাছে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি লাদেন যাকে সে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের জন্য দায়ি করে। ২০০১ সালে লাদেনকে হস্তান্তর করল না বিধায় আমেরিকা আফগানিস্তান আক্রমণ করে তালেবান উৎখাত করে। অথচ সেই লাদেনকে পাকিস্তান গোপনে আশ্রয় দিয়ে রেখেছিল। যেমন আমেরিকা তেমনি তালেবান, তেমনি পাকিস্তান।

আমেরিকার পক্ষে থাকলে ভালো। আর বিপক্ষে গেলে খারাপ। যেমন ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ইরানে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রের নামে রয়েছে মোল্লাতন্ত্র। সাদ্দামের সময় ইরাককে, গাদ্দাফির সময়ে লিবিয়াকে আমেরিকা বলত- একনায়কতন্ত্রের দেশ, গণতন্ত্র নেই। বর্তমানে সিরিয়াকে একই নামে অভিহিত করে। কিন্তু সৌদি আরবে যে গণতন্ত্র নেই, সেখানে এখনো রাজতন্ত্র, সে ব্যাপারে আমেরিকা কোনো কথা বলে না। কারণ, সৌদি আরব তার বশংবদ। সৌদি আরব আমেরিকার কাছ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র কেনে। সৌদি যুবরাজ সাংবাদিক খাসোগিকে কেটে টুকরো টুকরো করে এসিড দিয়ে গলিয়ে ফেললেও তা নিয়ে আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের মাথা ব্যথা নেই। আমেরিকা কোনো রাষ্ট্রকে ভালো কাজে উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে এমন নজির নেই। আমেরিকার কোনো নীতি আদর্শ নেই। স্বার্থপরতাই তার একমাত্র আদর্শ। তার শিষ্যরাও তার কাছ থেকে এ শিক্ষা রপ্ত করেছে ভালোই। যে ধর্মকে ব্যবহার করে তারা কমিউনিজমকে পরাজিত করেছে, সেই ধর্মের কাছে আজ তারা নিজেরাও পরাজিত হচ্ছে। তালেবানের কাছে মহা শক্তিধর সোভিয়েত ইউনিয়ন ও আমেরিকা উভয়েরই পরাজয় হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় পরাজয় হয়েছে আফগানিস্তানের।                     

 

লেখকঃ সহযোগী অধ্যাপকইতিহাস বিভাগসরকারি রাজেন্দ্র কলেজফরিদপুর।।

দ্রষ্টব্যঃপ্রকাশিত লেখাটি লেখকের একান্ত নিজস্ব মতামত এবং এর দায়-দায়িত্বও লেখকের একান্ত নিজস্ব