• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০১৮, ০১:১৯ পিএম

ডা. মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ

ডা. মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ
‘মিলন দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ডা.মিলন সমাধিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন আওয়ামী লীগ ও দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ

 

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহত ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ২৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ । এ উপলক্ষে সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে তার সমাধিতে আওয়ামী লীগ ও দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।  

সকালে শহীদ ডা. মিলন সংসদ ঢাকা মেডিকেল কলেজে ডা. মিলনের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। সাড়ে আটটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিলন স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।  এসময় উপস্থিত ছিলেন -আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। 

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে শাসমুল আলম খান মিলন নিহত হন। তার রক্তের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসক পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন এরশাদ। যে চেতনা ধারণ করে ডা. মিলন প্রাণ দিয়েছিল, আগামী প্রজন্মকে সেই চেতনায় অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যেতে হবে।

উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর এরশাদ পতন আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পাশের সড়কে এরশাদের পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে মারা যান জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা ও তৎকালীন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) যুগ্ম মহাসচিব ডা. শামসুল আলম খান মিলন।  এই ঘটনার পর আন্দোলন গণবিক্ষোভে রূপ নেয়। যার ফলে সামরিক শাসক এরশাদের পতন ত্বরান্বিত হয়।  মিলন নিহত হওয়ার এই দিনটিকে 'মিলন দিবস' হিসেবে পালন করে আসছে তার দল জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক দল। 

এএইচএস/ এএস/জেডএস