● খালেদা জিয়া কোনও অপরাধ করেননি

● ধ্বংসাত্মক কাজে না গিয়ে তার মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হতে হবে

● নিয়াজী সাহেবের মেয়ের মতো ‘খালেদা জিয়া’

● মন্ত্রীত্বে থাকলে ১০ ঘণ্টার মধ্যে ডেঙ্গুর ওষুধ নিয়ে আসতাম

খালেদা জিয়াকে একজন মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে কর্নেল অলি আহমদ বলেছেন, তিনি পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি ছিলেন। নিয়াজী সাহেব শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রথম অধিনায়ক ছিলেন। প্রথম অধিনায়ক হলো পিতার মতো। সুতরাং খালেদা জিয়া ছিল নিয়াজীর মেয়ের মতো। পাকিস্তানি সেনারা অনেক নির্যাতন করেছে, কিন্তু তাদের যে কালচার সেটা তারা বিসর্জন দেয়নি। খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানিরা যে সম্মান দিয়েছিল, আজকে নিজের দেশের কাছ থেকে তিনি সে সম্মান পাচ্ছেন না।

শুক্রবার ( ২ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর কারওরান বাজার (এফডিসি মোড়) এলডিপির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদত হোসেন সেলিম, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, এনডিপির সভাপতি  আবু তাহের, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি মনির হোসেন কাসেমী, জাতীয় দলের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, কল্যাণ পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাহিদুর রহমান তামান্না, বিএনপি নেতা মেজর (অব.) ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেনসহ আরও অনেকে।

খালেদা জিয়া কোনও অপরাধ করেননি দাবি করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেন সংবাদ সম্মেলনে।

কর্নেল অলি বলেন, খালেদা জিয়া কোনও অপরাধ করেননি। ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে জরিপ করলে দেখা যাবে তিনি এখনও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। প্রক্রিয়াগত ভুল হয়েছে সন্দেহ নাই কিন্তু টাকা আত্মসাত হয়নি। আশা করেছিলাম, হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনা করে, তার অবদান বিবেচনা করে, জিয়াউর রহমানের অবদান বিবেচনায় ন্যায় বিচার পাবো। কিন্তু মহামান্য হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়নি।

তিনি বিএনপি দলীয় নেতা-কর্মীদের ধ্বংসাত্মক কোনও কাজে না গিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

অভিযোগ করে অলি আহমদ বলেন, দেশে যখন ডেঙ্গু মহামারী চলছে তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মালয়েশিয়া গেছেন। প্রধানমন্ত্রী গত ২০ দিন ধরে দেশে নেই। কেন নেই, লন্ডনে তিনি কি করছেন এ বিষয়ে দেশের মানুষ অবহিত নয়।

তিনি আরও বলেন, দেশ থেকে প্রতিদিন বিমান বিদেশে যাচ্ছে। একটি বিমান ভাড়া করে ডেঙ্গু মহামারীর জন্য ওষুধ আনা কোনও কঠিন কাজ নয়। আমি মন্ত্রীত্বে থাকলে ১০ ঘণ্টার মধ্যে যে কোনও দেশ থেকে ওষুধগুলো নিয়ে আসতাম। মানুষের জীবন রক্ষার জন্য একটা বিমান পাঠানো বড় কিছু না। মন্ত্রীরা প্রতিনিয়ত বিমান নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন। সেখানে একটা বিমান নিয়ে ১৮ কোটি মানুষের জীবন রক্ষার জন্য ওষুধগুলো আনতে বাধাটা কোথায়, জানতে চান কর্নেল অলি।

তিনি বলেন, বাধাটা হলো তারা জনগণের প্রতিনিধি না। একজন/দুজন মন্ত্রী কথা বলার চেষ্টা করেছিল। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকারের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানাই তিনি কথা কম বলতে বলেছেন। কারণ ওবায়দুল কাদের বুঝে গেছেন সাইক্লোন শুরু হয়ে গেছে। সরকারের পক্ষে হয়তো ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব নাও হতে পারে। কারণ ২ লাখ পুলিশ তাদের নির্বাচিত করেছে। ১৪ কোটি মানুষের কোনও সম্পৃক্ততা ছিল না।

টিএস/এসএমএম