সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত, সাবেক সংসদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব আনা হয়েছে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে এই শোক প্রস্তাব আনেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ চলতি সংসদের এমপি হওয়ায় তার জীবনীর উপর আলোচনা চলছে। পরে মরহুমদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
শোক প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, আমরা ইতোমধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, তিনজন সাবেক সংসদ-সদস্য এবং একজন সাবেক এমএলএ-কে হারিয়েছি। তারা হলেন- সাবেক সংসদ-সদস্য সিরাজুল ইসলাম, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি ও সাবেক সংসদ-সদস্য অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, সাবেক এমএলএ অধ্যক্ষ খালেদা হাবিব এবং সাবেক সংসদ-সদস্য আনোয়ারা বেগম।
এসব ব্যক্তিদের জীবন বৃত্তান্ত সম্বলিত শোক প্রস্তাব সংসদে উত্থাপন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শোক প্রস্তাবের অনুলিপি এমপিদের মধ্যে সরবরাহ করা হয়।
এছাড়াও ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, ভারতের সাবেক অর্থ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আ. ন. ম. শফিকুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সুফি সাধক শেখ আব্দুল হানিফ, কথা সাহিত্যিক রিজিয়া রহমান,বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নুরুল ইসলাম, একুশে পদক ও ভারতের পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত সমাজসেবী গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের সচিব ঝর্ণা ধারা চৌধুরী, ভাষাসংগ্রামী খালেকুল আল আজাদ এবং জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম অধিনায়ক আনোয়ারুল কবির শামীমের মৃত্যুতে এ সংসদ গভীর শোক প্রকাশ করছে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও ও টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে বন্দুকধারীদের হামলায়, সুদানে বন্যায় এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে মহান জাতীয় সংসদ গভীর শোকপ্রকাশ, সকল বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।
স্পিকার জানান, উত্থাপিত শোকপ্রস্তাবে যদি কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের নাম বাদ পড়ে থাকে, তবে তার বা তাদের নাম ও সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত সংসদ সচিবালয়ে পৌঁছে দিলে তা পরবর্তীতে শোকপ্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিবেচনা করা হবে।
এইচএস/বিএস