• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯, ০৭:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯, ০৭:২৪ পিএম

নৈশকালীন ভোটে নির্বাচিত সরকার দুর্নীতির কাছে নতজানু : সিপিবি

নৈশকালীন ভোটে নির্বাচিত সরকার দুর্নীতির কাছে নতজানু : সিপিবি
প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সিপিবির বিক্ষোভ সমাবেশে-ছবি : জাগরণ

সিপিবি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, নৈশকালীন ভোটে নির্বাচিত হওয়ার জন্য ব্যবসায়ী-আমলাদের নিরঙ্কুশ সমর্থন তাদের প্রয়োজন ছিল। সে কারণে ব্যবসায়ী-আমলা-দলীয় নেতাদের দুর্নীতি-লুটপাটের কাছে বর্তমান সরকার নতজানু হয়ে পড়েছে। 

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে প্রেসক্লাবের সামনে অপরাধ-সিন্ডিকেট, মাফিয়াতন্ত্র গুঁড়িয়ে দেয়ার দাবিতে আয়োজিত জাতীয় বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দরা এ কথা বলেন।

সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. সাজেদুল হক রুবেল। সমাবেশে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠন আওয়ামী যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের প্রত্যক্ষ পরিচালনায় অবৈধ ক্যাসিনো বাণিজ্য গুঁড়িয়ে দিয়ে চিহ্নিত অপরাধী ও তাদের গডফাদারদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দেশবাসী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দের ঘুষ-দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, লুটপাটের ঘটনা প্রত্যক্ষ করছে। পুলিশের সহযোগিতায় সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে যুবলীগের নেতারা ঢাকার ক্রীড়া ক্লাবগুলোকে ক্যাসিনো বানিয়েছে। তাদের প্রত্যক্ষ পরিচালনায় ক্লাবগুলোতে অবাধে মদ, জুয়া, দেহব্যবসা চলেছে। এগুলোর অবৈধ আয় থেকে সম্পদের পাহাড় গড়েছে নিয়ন্ত্রকরা। ভাগ পাচ্ছে গডফাদার দলীয় নেতারা এবং পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্যাসিনো বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বাসা-অফিসে অভিযান চালিয়ে কোটি কোটি টাকা, স্বর্ণালংকার, অস্ত্র, মাদক উদ্ধার করেছে। 

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে ছাত্র লীগের শীর্ষ নেতারা উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারী থেকে কমিশন দাবি করেছে। তারা কমিশনকে তাদের ‘ন্যায্য হিস্যা’ মনে করে। এ থেকেই বোঝা যায় ঘুষ-দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারীর নিয়ন্ত্রক গ্রেফতারকৃত যবুলীগ নেতার বয়ান থেকে দেখা যাচ্ছে ঘুষের বিনিময়ে কাজ দেয়া হতো এবং এ ঘুষের ভাগিদার আমলা-ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতা সবাই।

নেতৃবৃন্দ বলেন, নিরপেক্ষভাবে এ সকল দুর্নীতিবাজ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে জনগণ সরকারের এ উদ্যোগকে আইওয়াশ বলে মনে করবে। নেতৃবৃন্দ ক্ষমতাসীন দলের ভিতরে ও বাইরে ব্যবসায়ী-আমলা-রাজনৈতিক নেতাদের দুষ্ট চক্র গুঁড়িয়ে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

তারা বলেন, এই অভিযানে চুনোপুঁটি-রাঘব বোয়াল সবাইকে ধরতে হবে। নেতৃবৃন্দ লুটপাটতন্ত্র, মাফিয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে শামিল হতে দেশবাসীকে আহ্বান জানান। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচি ‘ক্যাসিনো’, ঘুষ-দুর্নীতি, চাঁদাবাজী, লুটপাট, দখলদার গডফাদার, সন্ত্রাসী-মাস্তানদের রাজত্ব গুঁড়িয়ে দেয়া এবং অপরাধ-সিন্ডিকেট, মাফিয়াতন্ত্র উচ্ছেদের দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার, দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করেছে। 

টিএস/একেএস

আরও পড়ুন