• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০১৯, ০৩:৩১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৩, ২০১৯, ০৩:৩১ পিএম

আব্দুল মালেক রতনের দাবি

আমরাই মূল জেএসডি, ওরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে

আমরাই মূল জেএসডি, ওরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে
আবদুল মালেক রতন - ফাইল ছবি

গুজব-গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ব্রাকেটবন্দির পথেই হাঁটছে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বাধীন অংশটির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির সঙ্গে গভীর আঁতাতের অভিযোগ এনে দলটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন দাবি করেছেন, তার নেতৃত্বে থাকা অংশটিই পার্টির মূল ধারা। তিনি বলেন, আমরা মূল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।  

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জেএসডি বিদ্রোহী সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনসহ ৮ নেতা সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন। এতে মূল বক্তব্য পাঠ করেন আতাউল করিম ফারুক। উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি এমএ গোফরান, জিয়া খোন্দকার, মোশাররফ হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল খালেক, মাওলানা দেলওয়ার হোসেন প্রমুখ।                                                                   
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবদুল মালেক রতন বলেন, জেএসডি সভাপতির নেতৃত্বের একাংশ আজ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ-চেতনা, দলের অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতি এবং রাজনীতিতে আপদ ও বিপদ হিসেবে পরিচিত শক্তির বিরুদ্ধে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি (নতুন শক্তি) গড়ে তোলার অঙ্গীকার ভুলে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী দল ও গোষ্ঠীর সঙ্গে আঁতাত গড়ে তুলেছেন।

তিনি বলেন, প্রথমে একে নির্বাচনি ঐক্য বা সমঝোতা বলা হলেও নির্বাচনের পর একে আরও ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর করা হচ্ছে, আঙ্গুল কেটে রক্ত শপথের মধ্য দিয়ে। তারা দলের ভিত গণতন্ত্র বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত, পরিবারতন্ত্র ও কোটারীতন্ত্রে দিকে ঝুঁকে পড়েছে। গঠনতন্ত্র বিহীনভাবে কাউন্সিল করে ব্যক্তির ইচ্ছামতো নেতৃত্ব নির্বাচন উপজেলা, জেলা, মহানগর ও কেন্দ্রীয় কমিটির করার দিকে এগুচ্ছে। গঠনতন্ত্র নিয়ম-নীতিবিহীন অগণতান্ত্রিক ও ব্যক্তির ইচ্ছানির্ভর অবৈধ কাউন্সিল দলের ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতাকর্মী মেনে নেয়নি। তারা এর বিরুদ্ধে চরমভাবে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। তাদের প্রেরণাতেই আগামী বছর ১১ জানুয়ারি দলের জাতীয় কনভেনশন ডাকা হয়েছে। এ কনভেনশনে দলের ঘোষণাপত্র গঠনতন্ত্র, নিয়ম-নীতি চূড়ান্ত করে গণতান্ত্রিকভাবে দলের একটি কাউন্সিল করা হবে। এর মধ্য দিয়ে জেএসডির দশ দফা, সিরাজুল আলম খানের ১৪ দফাসহ অংশিদারিত্বের গণতন্ত্র ও মুক্তিযদ্ধের চেতনাভিত্তিক কর্মসূচি নেয়ার পথ প্রশস্ত হবে। 

সংবাদ সম্মেলন আব্দুল মালেক রতন অভিযোগ করেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও সেই ভিত্তিক রাজনীতি ও রাষ্ট্র প্রশাসন গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। অপরদিকে বিএনপিসহ বিরোধী জোট সব ভুলে শুধু মুখে খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলছে। এতে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন যেমন তারা জোরদার করতে পারছে না, তেমনি জনদুর্ভোগ লাঘবেও তাদের ভূমিকা জাতির কাছে দৃশ্যমান হচ্ছে না। আর এ ধরনের পরিস্থিতিতে জাতীয় স্বার্থ, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর নানা দিক থেকে আঘাত এলেও প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে উঠছে না। 

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলসমূহকে গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালনার উপরই জাতীয় স্বার্থ রক্ষা ও সুষ্ঠু রাজনীতির বিকাশ নির্ভর করে। এজন্যই অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ কাউন্সিল বর্জন করে ১১ জানুয়ারি কনভেনশনের মাধ্যমে দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র সুনিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।  
 
সূত্র জানায়, আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বাধীন জেএসডির বিদ্রোহীরা পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনের নেতৃত্বে সংগঠিত হয়ে নতুন জাসদ করার পক্ষেই অগ্রসর হচ্ছে। যদিও বলা হচ্ছে। ১১ জানুয়ারি জাতীয় কনভেনশনের পরই একটি নতুন জেএসডির আত্মপ্রকাশ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। 

টিএস/ এফসি

আরও পড়ুন